সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে চোট পাওয়ার পর যন্ত্রণাকাতর নেমার। ছবি: রয়টার্স
কাতার বিশ্বকাপে কি আর খেলতে পারবেন নেমার? তাঁর গোড়ালির চোট দ্রুত ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। ব্রাজিলের স্ট্রাইকার নিজেও হয়তো বুঝতে পারছেন সে কথা। তাই ফোলা গোড়ালির ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের বার্তা দিয়েছেন নেমার। যদিও এখনই নেমারকে নিয়ে আশা ছাড়ছে না ব্রাজিল শিবির।
গ্রুপ পর্বের পরের দু’টি ম্যাচে নেমার খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছিল আগেই। ২৮ নভেম্বর সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবং ৩ ডিসেম্বর ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই। ৩০ বছরের ফুটবলারের গোড়ালির যা পরিস্থিতি, তাতে তার পরের ম্যাচগুলোতেও তাঁকে হয়তো পাবে না ব্রাজিল। সে ক্ষেত্রে চলতি বিশ্বকাপে তাঁকে আর খেলতে না-ও দেখা যেতে পারে।
২৪ নভেম্বর সার্বিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে চোট পান নেমার। সেই ম্যাচের ৮০ মিনিটে মাঠ ছাড়ার সময় নেমারের চোখে জল দেখা গিয়েছিল। মুখে ছিল যন্ত্রণা এবং হতাশার ছাপ। তাঁর দেওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে ডান পায়ের গোড়ালি বেশ ফুলে রয়েছে। রয়েছে যন্ত্রণা। ঠিক মতো পা ফেলতে পারছেন না। বিশেষ ধরনের ব্যান্ডেজ বেধে রেখেছেন পায়ে। যদিও তাঁর মুখ কিছুটা প্রত্যয়ী। সূত্রের খবর, তাঁর দ্রুত সেরে ওঠার তেমন সম্ভাবনা দেখছেন না ব্রাজিল দলের মেডিক্যাল স্টাফরা। যদিও ব্রাজিল শিবির থেকে সরকারি ভাবে তাঁর চোটের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। নেমারের চোট নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে চলছে জল্পনা।
নেমার গোড়ালির পরিস্থিতি নিয়ে নিজের নতুন পোস্টে কিছু লেখেননি। তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার তিনি লিখেছিলেন, “ব্রাজিলের জার্সি পরার গর্ব এবং ভালবাসা বোঝানো সম্ভব নয়। আমাকে যদি ঈশ্বর জিজ্ঞেস করেন কোন দেশে জন্ম নিতে চাও, আমি বলব ব্রাজিল। আমি জীবনে কিছু সহজে পেয়ে গিয়েছি, এমন নয়। আমাকে সব সময় নিজের স্বপ্ন এবং লক্ষ্যের দিকে দৌড়তে হয়েছে। কখনও কারও খারাপ চাইনি। সকলকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। আমার জীবনের আরও একটা কঠিন সময়। আবার একটা বিশ্বকাপেই চোট পেলাম। হ্যাঁ, চোট রয়েছে আমার। কষ্ট হচ্ছে। ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে আমার। সেই চেষ্টা আমি করব। দেশ, সতীর্থ এবং নিজের জন্য ফিরে আসতে হবে। আমাকে এই ভাবে মারার জন্য শত্রুদের খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। আমি ঈশ্বরের পুত্র, তাঁর উপর বিশ্বাস আছে আমার।”
নেমার শেষ পর্যন্ত কাতার বিশ্বকাপে আর খেলতে না পারলে, ব্রাজিলের শক্তি কিছুটা হলেও কমবে। বিশেষ করে প্রতিযোগিতার নকআউট পর্বে তাঁর অভাব অনুভূত হতে পারে। হতাশ হবেন ফুটবলপ্রেমীরাও।