অনুশীলনে ইংল্যান্ডের র্যাশফোর্ড। ছবি রয়টার্স।
আবারও যদি তাঁকে টাইব্রেক নিতে হয়, তবে তিনি তাঁর জন্য প্রস্তুত। জানিয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের আগের ম্যাচের নায়ক মার্কাস র্যাশফোর্ড।
গত বছর ইউরো কাপ ফাইনালে টাইব্রেকে গিয়ে ইটালির কাছে হার মানতে হয় ইংল্যান্ডের। সেই টাইব্রেকে দু’টি শট ফস্কেছিলেন র্যাশফোর্ড এবং বুকায়ো সাকা। হার মানতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। জানা যাচ্ছে, রবিবার সেনেগালের বিরুদ্ধে শেষ ষোলোর ম্যাচে যদি আবার একই পরিস্থিতি দাঁড়ায়, তা হলে ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেট ডেকে নেবেন এই দুই ফুটবলারকেই।
ইংল্যান্ডের প্রচারমাধ্যমে র্যাশফোর্ড বলেছেন, ‘‘টাইব্রেকে শট নেওয়াটা একটা বড় ব্যাপার। আশা করি, আরও একটা পেনাল্টি নেওয়ার সুযোগ পাব। সে দিকেই তাকিয়ে আছি।’’ বিশ্বকাপের ইতিহাস বলছে, টাইব্রেকে ইংল্যান্ডের রেকর্ড মোটেই ভাল নয়। পুরো বছরটা ধরেই নাকি তাই পেনাল্টি শুট আউটের মহড়া নিয়েছেন ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা। যাতে কাতারে এ রকম পরিস্থিতির মুখে পড়লে সামাল দেওয়া যায়। ইংল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য জন স্টোনস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁরা জানেন না, কে কখন শট মারবেন। কারণ ওই সময় কে মাঠে থাকবেন, তার উপরে সব নির্ভর করবে। স্টোনসের কথায়, ‘‘চার বছর আগে আমরা আমাদের প্রথম শুট আউটে জিতি। যেটা দল হিসেবে আমাদের কাছে একটা বড় পদক্ষেপ ছিল। যদিও ইউরোয় আমাদের প্রত্যাশামতো ব্যাপারটা ঘটেনি।’’
পেনাল্টি নেওয়া নিয়ে তাঁরা অনুশীলনে জোর দিচ্ছেন, সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার। স্টোনস বলেছেন, ‘‘আমরা পেনাল্টি নেওয়া নিখুঁত করার জন্য অনেক পরিশ্রম করছি। খুঁটিনাটি ব্যাপারের উপরে জোর দিয়েছি। অতীত রেকর্ড দেখছি। ইউরোয় কী হয়েছিল, তাও দেখা হচ্ছে। আবার ব্যক্তিগত ভাবে কারও উপরে যদি বিশেষ নজর দিতে হয়, তাও দেওয়া হচ্ছে।’’ খাতায় কলমে অবশ্যই সেনেগালের চেয়ে এই লড়াইয়ে এগিয়ে ইংল্যান্ড। কিন্তু এই বিশ্বকাপে যে ভাবে তথাকথিত ছোট দলগুলো চমকে দিচ্ছে একের পর এক, তাতে সব কিছুই সম্ভব। সেনেগালও সেই আশাতেই নামবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সাদিয়ো মানে ছাড়াও সেনেগালের এই দলটা যথেষ্ট শক্তিশালী। যেটা মানেন ইংল্যান্ডের ম্যানেজার সাউথগেটও। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘র্যাঙ্কিংয়ে আমরা হয়তো উপরে, কিন্তু ওরাও খুব বিপজ্জনক দল।’’