তিতের দলে চিন্তার কালো মেঘ। ছবি: রয়টার্স
নেমার এবং দানিলো দলে নেই। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সোমবার নামার আগে আরও একটি ধাক্কা খেতে পারে ব্রাজিল। সেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে পারেন লুকাস পাকুয়েতা। যদিও ব্রাজিল শিবির থেকে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কোচ তিতে জানিয়েছেন, তিনি প্রথম দলের ব্যাপারে এখন কোনও কথাই বলবেন না।
শনিবার আল আরবি স্টেডিয়ামে রুদ্ধ দ্বার অনুশীলন করে ব্রাজিল। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি পাকুয়েতাকে নিয়ে কিছুই বলেননি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর, শনিবার পাকুয়েতা ভাল করে অনুশীলন করতে পারেননি। সামান্য অস্বস্তি রয়েছে। তবে কোথায় চোট রয়েছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
যদি তিতে আক্রমণভাগ শক্তিশালী রাখতে চান, তা হলে ভিনিসিয়াস, রিচার্লিসন এবং রাফিনহার সঙ্গে রদ্রিগোকে রাখতে পারেন। বিশ্বকাপে আসার আগে তুরিনের শিবিরে নেমারের জায়গায় খেলেছেন রদ্রিগো। তবে সেরা বিকল্প হল কাসেমিরোর পাশে ফ্রেডকে খেলিয়ে মিডফিল্ড শক্তিশালী করা। পাকুয়েতা যদি খেলতে পারেন, তা হলে তাঁকে একটু সামনের দিকে রেখে খেলাতে পারেন তিতে।
দানিলোর জায়গায় সেন্টার ব্যাক এদের মিলিটাও খেলতে পারেন। ঘানার বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচে তিনি সেই জায়গাতেই খেলেছিলেন। এ ছাড়া তিতের হাতে রয়েছে দানি আলভেসের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলার। যদিও এ দিন তিতে বলেন, “আমি ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি কাকে খেলাব। কিন্তু ম্যাচের আগে কোনও ভাবেই সেটা জানাব না।”
তিতের সংযোজন, “কৌশলগত ভাবে যে ফুটবলার শারীরিক ভাবে যত বেশি সুস্থ, সেই অনুযায়ী তাদের খেলানোর পরিকল্পনা করেছি। মিলিটাও আগে রাইট ব্যাক হিসাবে খেলেছে। দানি আবার খেলা তৈরি করতে ভালবাসে। দলকে নেতৃত্বও দিতে পারে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।”
এ দিনও তিতে জানিয়েছেন, নেমার এবং দানিলোকে আবার বিশ্বকাপে দেখতে পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। বলেছেন, “আশা করি ওদের আবার এই বিশ্বকাপে দেখা যাবে। চিকিৎসকদের কথা মাথায় রেখেই বলছি। যারা চোট পেয়েছে তাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। মাঠে ফেরার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে ওরা। আশা করি পরের দিকে ওদের রেখেই দল সাজাতে পারব।”