সাজঘরে ফিরেই উদ্দাম নাচ মেসির। ছবি: রয়টার্স
মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোল করে দলের জয়ে অন্যতম বড় ভূমিকা নিয়েছেন লিয়োনেল মেসি। দল জিতেছে ২-০ গোলে। একটা জয়ই পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে আর্জেন্টিনা দলের আবহ। সৌদি আরবের কাছে হারের পর আর্জেন্টিনার শিবির থমথমে হয়ে উঠেছিল। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে জয় সব বদলে দিয়েছে। ম্যাচের পর সাজঘরে এসে নাচগানে মাতে আর্জেন্টিনা। আর সেই উচ্ছ্বাসের পুরোভাগে ছিলেন মেসি। হাত নেড়ে সতীর্থদের তাতালেন, গান করলেন, নাচানাচি করলেন। চেনা মেজাজেই পাওয়া গেল আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে। বোঝা যাচ্ছিল, কতটা খুশি তিনি।
মেক্সিকোর বিরুদ্ধে না জিততে পারলে আর্জেন্টিনার বিদায় কার্যত নিশ্চিত ছিল। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার খেলা একেবারেই মন ভরাতে পারেনি। ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলে দিল ৬৪ মিনিটে করা মেসির গোল। অ্যাঙ্খেল দি মারিয়ার থেকে পাস পেয়ে গড়ানো শটে গোল করেন মেসি। ম্যাচের আগে দর্শনীয় শটে গোল করেন এনজ়ো ফের্নান্দেস।
সাজঘরে মেসিকে প্রচণ্ড হাসতে দেখা যায়। একটি টেবিলের উপর চড়ে নাচছিলেন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস। বাকিরা চেঁচিয়ে স্প্যানিশ ভাষায় গান করছিলেন। পাওলো ডিবালা এবং নিকোলাস ওটামেন্ডিকে সেখানে দেখা গিয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সাজঘরে উৎসব চলে। এর পর ফুটবলাররা স্নান করে তরতাজা হয়ে পৌঁছে যান শিবিরে। ব্রাজিল শিবির অবশ্য মেসিদের গানে বিরক্ত। তাদের দাবি, কোপা আমেরিকা ফাইনালে হারের উল্লেখ করে আর্জেন্টিনা তাদের কটাক্ষ করেছে।
মেক্সিকো ম্যাচের পর আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বলেন, ‘‘আজ থেকে আর্জেন্টিনার আসল বিশ্বকাপ শুরু হল। নিজেদের উপর বিশ্বাস ছিল। ফুটবলপ্রেমীদেরও বিশ্বাস রাখতে বলব। আমরা সেটাই করেছি, যেটা আমাদের করার দরকার ছিল। আমাদের সামনে কোনও দ্বিতীয় পছন্দ ছিল না। আমাদের জিততেই হত। আমরা শুধু নিজেদের উপরই ভরসা করেছিলাম।’’
দলের দমবন্ধকর পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নিশ্চিন্ত থাকার উপায় নেই। মেনে নেন শনিবার প্রথমার্ধে তাঁরা ভাল খেলতে পারেনি। মেসি বলেন, ‘‘প্রথমার্ধে প্রত্যাশা মতো খেলতে পারিনি আমরা। আমাদের অবশ্যই শুরু থেকে ভাল খেলা উচিত ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা মাথা ঠান্ডা রেখে খেলার চেষ্টা করেছি। তাতে গোল এসেছে। খেলাও অনেক ভাল হয়েছে। আমরা যে ভাবে খেলি, ঠিক সে ভাবেই খেলতে পেরেছি।’’ মেক্সিকোর বিরুদ্ধে জয় সুযোগ এনে দিয়েছে অর্জেন্টিনার সামনে। এই সুযোগ হারাতে চান না মেসি। বিশ্বকাপের দু’টি ম্যাচেই গোল করেছেন নিজে। দলের পারফরম্যান্সেও খুশি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।