Lionel Messi

মেসিদের জয়ের ম্যাচে রেকর্ড দর্শক! কাতার, ফিফাকে নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়ল

বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় সব স্টেডিয়ামেই দেখা যাচ্ছে আসনসংখ্যার থেকে বেশি সংখ্যায় দর্শক এসেছেন। মেসিদের ম্যাচেও একই জিনিস দেখা গেল। কাতারের তরফে এ নিয়ে এখনও কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২২ ১৭:০১
Share:

মেসিদের ম্যাচে দর্শকসংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন। ছবি: রয়টার্স

শনিবার রাতে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচ দেখলেন রেকর্ড সংখ্যক দর্শক। ফিফা জানিয়েছে, লুসাইল স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন ৮৮,৯৬৬ জন দর্শক। ১৯৯৪ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর (৯৪,১৯৪) পুরুষদের বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে এত দর্শক উপস্থিত হলেন। ম্যাচের আগে স্টেডিয়াম দেখেই সেটা অবশ্য মনে হয়েছিল। এমন কোনও আসন চোখে পড়েনি যা খালি ছিল।

Advertisement

তবে এই দর্শকসংখ্যা নিয়েও দেখা দিয়েছে বিতর্ক। সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, লুসাইল স্টেডিয়ামের মোট আসনসংখ্যা ৮০ হাজার। তা হলে কী করে আরও আট হাজার অতিরিক্ত দর্শক স্টেডিয়ামে ঢুকে গেলেন। শুধু তাই নয়, সৌদি আরবের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচও হয়েছিল এই লুসাইল স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচেও দেখেছিলেন ৮৮ হাজারের মতো দর্শক।

বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় সব স্টেডিয়ামেই দেখা যাচ্ছে আসনসংখ্যার থেকে বেশি সংখ্যায় দর্শক এসেছেন। কাতারের তরফে এ নিয়ে এখনও কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, ফিফার নির্দেশ অনুযায়ী ফাইনাল এবং বড় দলের একটি ম্যাচ অন্তত ৮০ হাজার আসনসমৃদ্ধ স্টেডিয়ামে দিতে হবে। এ ছাড়া সেমিফাইনাল, কোয়ার্টার ফাইনাল এবং গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলির জন্য গুরুত্ব অনুযায়ী ৬০ হাজার এবং ৪০ হাজারের স্টেডিয়ামে খেলা দেওয়া হবে। এই সংখ্যা ফিফার সর্বনিম্ন চাহিদা।

Advertisement

কাতারের তরফে এক সূত্র বলেছেন, ফিফার যে চাহিদা, স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা তার থেকে বেশিই। অর্থাৎ ফিফার চাহিদা অনুযায়ী লুসাইলের আসনসংখ্যা সর্বনিম্ন ৮০ হাজার রাখার কথা বলা হলেও, সেই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা প্রায় ৮৯ হাজার। সাংবাদিক এবং সম্প্রচারকারীদের আসন ধরলে সেটি ৯২ হাজারের কাছাকাছি। ফলে যে দর্শকসংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে তার মধ্যে কোনও ভুল নেই। যে কারণে রাতারাতি স্টেডিয়ামগুলির ধারণক্ষমতা ১২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।

তবে বিতর্ক এতে মোটেই থামছে না। সৌদি আরব ম্যাচে হাজির অনেক সাংবাদিকই টুইট করে জানান, বেশ কিছু ফাঁকা আসন তাঁরা লক্ষ্য করেছেন। এমনকি, বিতর্কিত বাকি ম্যাচগুলি নিয়েও একই অভিযোগ উঠেছে। কাতার বা ফিফা এখনও সরকারি ভাবে এর কোনও কারণ না জানানোয় ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement