গোলের পর এমবাপের উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স
তিনি আবার এলেন, দেখলেন, জয় করলেন! অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিলেও শক্তিশালী ডেনমার্কের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে সমস্যায় পড়েছিল ফ্রান্স। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের রক্ষণ অনেক শক্তিশালী। বার বার আটকে যাচ্ছিল তারা। ম্যাচে দু’টি সুযোগ পেলেন, দু’টিতেই গোল করে কিলিয়ান এমবাপে বুঝিয়ে দিলেন, বিশ্বকাপ তাঁর কাছে কতটা প্রিয় প্রতিযোগিতা। গোলের নিরিখে লিয়োনেল মেসিকে ছুঁয়ে ফেললেন তিনি। দু’জনেরই বিশ্বকাপে সাতটি করে গোল হয়ে গেল। মাত্র ২৩ বছরে, নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপেই! মেসির লেগেছে পাঁচটি বিশ্বকাপ।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে পরের রাউন্ডে যাওয়া নিশ্চিত করে ফেলল ফ্রান্স। দু’টি জয়েই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেন এমবাপে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি একটি গোল করেছেন। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে দু’টি গোলই এল তাঁর পা থেকে। প্রথমার্ধে ফ্রান্সের আক্রমণ বার বার আটকে যাচ্ছিল ডেনমার্কের ডিফেন্সের জঙ্গলে। এমবাপে তো বটেই, অলিভিয়ের জিহু, আঁতোয়া গ্রিজম্যান কেউই গোল করতে পারছিলেন না। ফ্রান্স আক্রমণ করছিল, কিন্তু সুযোগ কাজে আসছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধ থেকে বদলে যায় ফ্রান্সের খেলা। ৫০ এবং ৫৬ মিনিটে দু’বার বাঁ প্রান্ত ধরে বল নিয়ে ওঠেন এমবাপে। কোনও বারই গোল করতে পারেননি। কিন্তু ভাবভঙ্গি বলে দিচ্ছিল গোল করতে কতটা মরিয়া তিনি। ফলও মেলে। ৬০ মিনিটে ডেনমার্কের রক্ষণের চক্রব্যুহ ভেঙে গোল করেন এমবাপে। থিয়ো হের্নান্দেসের দুরন্ত পাস পেয়ে চলতি বলে শট নিয়ে বিপক্ষ গোলকিপারকে পরাস্ত করেন তিনি।
তবে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় ফ্রান্স রক্ষণের ভুলে। সাত মিনিট পরে গোল করেন আন্দ্রেয়াস ক্রিশ্চেনসেন। সমতা ফেরায় ডেনমার্ক। বিশ্বকাপের শেষ ১৬ নিশ্চিত করতে ফ্রান্সের কাছে এই ম্যাচে জয় খুবই দরকার ছিল। এ বারও তাদের ত্রাতা সেই এমবাপেই। ডান দিক থেকে বাঁ পায়ে বক্সের মধ্যে নিখুঁত ক্রস রেখেছিলেন গ্রিজম্যান। বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ঘাড়ের কাছে নিয়ে হেডে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন এমবাপে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে গোল পাননি এমবাপে। কিন্তু গোল করার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন বার বার। এক বার গোলের সামনে থেকে উড়িয়ে দিয়েছেন। এক বার গ্রিজম্যানের ক্রস সাইড ভলি করতে গিয়ে বাইরে মেরেছেন। কিন্তু হতাশ হননি। বার বার আক্রমণে উঠেছেন। তার ফলও পেয়েছেন। ৬৮ মিনিটের মাথায় দেম্বেলের ক্রস থেকে হেডে গোল করেছেন এমবাপে।
সেখানেই থেমে থাকেননি এমবাপে। তিন মিনিট পরে গোল করিয়েছেন। বাঁ প্রান্তে বল পেয়ে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলারদের গতিতে পরাস্ত করে বক্সে ঢুকেছেন। গোলের সামনে থাকা অলিভিয়ের জিহুর উদ্দেশে বল বাড়িয়েছেন। হেডে গোল করেছেন জিহু। গোল করিয়েও সমান আনন্দ করতে দেখা গিয়েছে এমবাপেকে।