ঘানাকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন আন্দ্রে আয়িউ। কিন্তু পেনাল্টি মিস্ করেন তিনি। ছবি: রয়টার্স
বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে পেনাল্টি ফস্কান ঘানার ফুটবলার আন্দ্রে আয়িউ। বাবাকে পেনাল্টি মিস্ করতে দেখে গ্যালারিতে বসে থাকা ছোট্ট মেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। তাকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। খেলা শেষে আয়িউ নিজেও হাসপাতালে ছোটেন।
বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ঘানা। পরের রাউন্ডে যেতে হলে দু’দলকেই জিততে হত। খেলার প্রথম সুযোগ আসে ঘানার কাছে। পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু আয়িউর শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক সের্জিয়ো রশেট।
ঘানার খেলা দেখতে গ্যালারিতে ছিল আয়িউর সাত বছরের মেয়ে। সে এই ঘটনা দেখে অজ্ঞান হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খেলা শেষ হওয়ার পরে মেয়ের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর শুনে আয়িউ সেখানে যান। হাসপাতালে যাওয়ার পরে জ্ঞান ফিরে আসে আয়িউর মেয়ের। এখন ভাল আছে সে।
হাসপাতালে মেয়েকে কোলে নিয়ে আয়িউর দাঁড়িয়ে থাকার ছবি প্রকাশ পেয়েছে নেটমাধ্যমে। ক্যাপশনে লেখা, ‘‘উরুগুয়ের বিরুদ্ধে আয়িউ পেনাল্টি ফস্কানোর পরে ওঁর মেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। খেলা শেষে সরাসরি হাসপাতালে যান আয়িউ। প্রথমে সবাই ভয়ে পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন আয়িউর মেয়ে ভাল আছে।’’
আয়িউর পেনাল্টি নষ্টের খেসারত দিতে হয় ঘানাকে। প্রথমার্ধেই দু’গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। শেষ পর্যন্ত ০-২ গোলে ম্যাচ হারে ঘানা। অন্য দিকে জিতেও শেষ ষোলোয় যেতে পারেনি উরুগুয়ে। গোল পার্থক্যে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে যায় লুই সুয়ারেসদের।