—ফাইল চিত্র
এত দিন পর্যন্ত তিনিই ছিলেন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১২ ম্যাচে করেছিলেন ১০ গোল। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে গোল করে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন লিয়োনেল মেসি। আর্জেন্টনার অধিনায়ক, নিজের রেকর্ড নিয়ে সে দেশের সংবাদপত্রে মুখ খুললেন বাতিস্তুতা। আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফরোয়ার্ড যা বললেন...
মেসির নতুন রেকর্ড: আমি যখন ১০টা গোল করেছিলাম, তখন মনে হয়নি ব্যাপারটা খুব কঠিন। আমার তো রাগ হত, কেন আরও বেশি গোল করতে পারিনি! এখন বুঝতে পারছি, বিশ্বকাপে ১০ গোল করা মোটেই সহজ কাজ ছিল না। কুড়ি বছর ধরে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে আমার নাম ছিল।
রেকর্ড হাতছাড়া হওয়ার অনুভূতি: রেকর্ড হাতছাড়া হওয়ায় মোটেও দুঃখিত নই। যত দিন এই রেকর্ডটা আমার ছিল, উপভোগ করেছি। আর খেলি না কিন্তু বুঝতে পারছি, মানুষ এখনও আমাকে মনে রেখেছেন।
মানুষ এখনও আমাকে ভালবাসেন। লিয়োর এই রেকর্ডটা প্রাপ্য ছিল। কারও পক্ষে যদি এই রেকর্ড ভাঙা সম্ভব হত, তবে সেটা লিয়োরই। অন্য কেউ নয়।
কাতার বিশ্বকাপে মেসি: যে ভাবে খেলছে, সেটা আমি আশা করিনি। ভেবেছিলাম ও খুব শান্ত থাকবে। কিন্তু দেখছি কুড়ি বছরের যুবকের মতো খেলছে মেসি। এই তো ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে ২০ বছরের এক ডিফেন্ডারকে (জসকো গার্দিওল) ঘোল খাইয়ে দিল।
মেসিকে দেখার অনুভূতি: ভীষণ ক্ষুধার্ত দেখাচ্ছে মেসিকে। যে কারণে এই ভাবে খেলছে। ও কাতারে এসেছে বিশ্বকাপটা জেতার জন্য। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ৩৫ বছর বয়সেও মেসির মধ্যে এই খিদেটা দেখতে পেয়ে আমি ভীষণ খুশি।
মারাদোনার সঙ্গে তুলনা: আমি দিয়েগো মারাদোনার সঙ্গে খেলেছি। লিয়ো মেসির খেলা দেখছি। এই তুলনাটা মোটেই ঠিক নয়। এই তুলনায় অস্বস্তিতে পড়ি। দিয়েগোর উপরে মেসিকে স্থান দিলে দিয়েগোকে ছোট করা হয়। আবার দিয়েগোকে উপরে রাখলে মেসিকে। ওরা দু’জনেই কিংবদন্তি, যারা ফুটবলকে প্রভাবিত করেছিল।