রবিবার ফাইনালের পর এমবাপেকে সান্ত্বনা দেন মাকরঁ। ছিলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্তিনেসও। ছবি: টুইটার।
দল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতেই কাতারে চলে এসেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। কিলিয়ন এমবাপেরা পর পর দু’বার বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। রবিবার লুসাইল স্টেডিয়ামের ভিআইপি বক্সে বসে দেখেছেন দলের হার। তবু দলের খেলায় খুশি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। পরে সাজঘরে গিয়ে এমবাপেদের উদ্দীপ্ত করেন মাকরঁ।
বিশ্বকাপের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। দলের ফুটবলারদের মেডেল দেওয়ার সময়ই এক দফা সান্ত্বনা দেন তিনি। পরে চলে যান হুগো লরিসদের সাজঘরে। সেখানে গিয়ে হতাশ ফুটবলারদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এমবাপেদের খেলার প্রশংসা করেন মাকরঁ। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্টেও দিয়েছেন তিনি।
ফুটবলারদের মাকরঁ বলেন, ‘‘বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও আমি তোমাদের অভিনন্দন জানাতে চাই। দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছ তোমরা। খেলোয়াড় সুলভ মানসিকতা নিয়ে লড়াই করেছ তোমরা। আশা করেছিলাম তোমরাই চ্যাম্পিয়ন হবে। তবু তোমাদের কৃতিত্ব কোনও ভাবেই কম নয়।’’ হতাশায় না ভুগে এমবাপেদের আরও ভাল খেলার কথা বলেন মাকরঁ। পর পর দু’বার বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হলেও ফ্রান্সের জাতীয় দলকে নিয়ে আশাবাদী প্রেসিডেন্ট।
মাকরেঁর আগে ফুটবলারদের উদ্দীপ্ত করার চেষ্টা করেন কোচ দিদিয়ের দেশঁ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দু’বার খাদের কিনারা থেকে ফিরে এসেছি। তবু আমাদের চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার আক্ষেপ থাকবে। অনুশোচনা থাকবে। আমরা অনেকটা দেরিতে বল ধরে খেলতে পেরেছি। ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার পর ০-৩ ব্যবধানে যদি আমরা হেরে যেতাম, তা হলে সেটা আলাদা বিষয় হত। অবশ্যই আর্জেন্টিনার কৃতিত্ব হত। কিন্তু তোমরা যথেষ্ট সাহসের সঙ্গে ল়ড়াই করেছ।’’
ফ্রান্সকে ফুটবলার এবং কোচ হিসাবে বিশ্বকাপ দেওয়া দেশঁ আরও বলেন, ‘‘আগের ম্যাচগুলোয় আমরা যতটা শক্তি নিয়ে খেলেছিলাম, ফাইনালে ততটা ছিল না। যদিও যাদের নিয়ে খেলা শুরু করেছিলাম, তাদের সক্ষমতা নিয়েও আমার কোনও সংশয় ছিল না।’’ উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে ফ্রান্সের একাধিক ফুটবলার ‘কোল্ড ভাইরাসে’ অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েক জনের খেলা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছিল। আমরা বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছি। এমন একটা দল সামনে ছিল, যাদের অনেকেই প্রথম বার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলছে। আমাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা তেমন ছিল না।’’