রবিবার জোড়া গোলের পর এমবাপে। ছবি: রয়টার্স
পোল্যান্ডকে দাপটের সঙ্গে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল ফ্রান্স। আর এই জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিলেন কিলিয়ান এমবাপে। জোড়া গোল করলেন তিনি। দু’টি গোলই দেখার মতোন। দূরপাল্লার শটে গোল করেন তিনি। রবিবার জোড়া গোলের সাহায্যে একইসঙ্গে পেলে এবং দিয়েগো মারাদোনাকে টপকে গেলেন তিনি।
রবিবারের জোড়া গোলের ফলে বিশ্বকাপে মোট ৯টি গোল হয়ে গেল এমবাপের। আগের বিশ্বকাপে করেছিলেন চারটি গোল। এ বার বাকিদের থেকে অন্তত দু’টি গোলে এখনই এগিয়ে তিনি। বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম বয়সে আট গোল করার নজির এত দিন ছিল পেলের। ১৯৬৬ সালে ২৬ বছর বয়সে অষ্টম গোলটি করেছিলেন তিনি। এমবাপে সেই কাজ করে ফেললেন ২৩ বছর বয়সেই। গত বারের বিশ্বকাপে তিনি সবচেয়ে কম বয়সে ফাইনালে গোল করার ক্ষেত্রে পেলের পরেই ছিলেন তিনি। এ বার ব্রাজিলের কিংবদন্তিকেই পেরিয়ে গেলেন।
মারাদোনাও হার মানলেন এমবাপের কাছে। চারটি বিশ্বকাপে মারাদোনার মোট আটটি গোল রয়েছে। তাঁর থেকে অনেক কম বয়সে সেই নজির পেরিয়ে গেলেন এমবাপে। শনিবারই মারাদোনাকে টপকে যান আর্জেন্টিনার লিয়োনেল মেসি। এ দিন সেটা করে দেখালেন এমবাপে। গত বারও বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টারে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছিলেন এমবাপে।
প্রসঙ্গত, শনিবার অনুশীলনের এক ফাঁকে সাজঘরে চলে গিয়েছিলেন এমবাপে। কিছু ক্ষণ পরে ফিরে আসেন। দেখা যায়, সমাজমাধ্যমে পেলের সুস্থতা কামনা করে পোস্ট দিয়েছেন। সেই ফুটবলারকেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে টপকে গেলেন। তবে বিশ্বকাপে ফ্রান্সের হয়ে গোলের নিরিখে এখনও চারটি গোল বাকি। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে একই প্রতিযোগিতায় ১৩টি গোল করেছিলেন জাঁ ফঁতে।