ফুটবলজীবনের ১০০০তম ম্যাচে গোল পেলেন মেসি। ছবি: রয়টার্স
শনিবার বিশ্বকাপে নিজের নবম গোল করলেন লিয়োনেল মেসি। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে গোলসংখ্যার বিচারে দিয়েগো মারাদোনাকে টপকে গেলেন তিনি। সামনে এ বার গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (১০)। ফুটবলজীবনের ১০০০তম ম্যাচে গোল পেলেন মেসি। কেরিয়ারে ৭৮৯তম গোল করলেন তিনি।
এই নিয়ে পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছেন মেসি। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে খেলেছেন ২৩টি ম্যাচ। ২০০৬-এ জার্মানিতে প্রথম বার বিশ্বকাপে আবির্ভাব হয় মেসির। তখন তিনি নেহাতই এক প্রতিভাবান উঠতি ফুটবলার। গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে সার্বিয়া এবং মন্টেনেগ্রোর বিরুদ্ধে ৭৫ মিনিটে পরিবর্ত হিসাবে নেমেছিলেন মেসি। সেই সময় আর্জেন্টিনা জিতছিল ৩-০ গোলে। চতুর্থ গোলের সময় হের্নান ক্রেসপোকে অ্যাসিস্ট করেন মেসি। ৮৮ মিনিটে নিজের গোল করেন কার্লোস তেভেজের পাস থেকে। ম্যাচটি আর্জেন্টিনা জেতে ৬-০ গোলে। মেসির বয়স তখন ১৮ বছর ৩৫৭ দিন।
২০১০ বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার কাছে হতাশার। তত দিনে অলিম্পিক্সে আর্জেন্টিনাকে জিতিয়ে এবং বার্সেলোনার হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলে মেসি বেশ পরিচিত নাম। প্রত্যাশা স্বাভাবিক ভাবেই বেশি ছিল। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। মেসির একমাত্র অবদান ছিল প্রি-কোয়ার্টারে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ম্যাচে তেভেজকে দেওয়া একটি অ্যাসিস্ট।
এখনও পর্যন্ত মেসির সেরা বিশ্বকাপ ২০১৪। সে বার ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। সাত ম্যাচে চারটি গোল এবং একটি অ্যাসিস্ট করেন মেসি। কার্যত একার হাতে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলেন। গ্রুপের ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে ৩-২ জয়ে দু’টি গোল করেছিলেন মেসি। এ ছাড়া গ্রুপে ইরান এবং বসনিয়া-হার্জেগোভিনা ম্যাচেও একটি করে গোল ছিল মেসির।
২০১৮-তে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। সেই বিশ্বকাপে মাত্র একটি গোল রয়েছে মেসির। সেটি গ্রুপের তৃতীয় ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে। আর্জেন্টিনার কাছে সেই ম্যাচ ছিল মরণ-বাঁচন ম্যাচ। কারণ তার আগে আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে ড্র এবং ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরেছিল তারা।
এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের বিরুদ্ধে গোল করেন মেসি। কিন্তু সেই ম্যাচ আর্জেন্টিনা হেরে যায়। গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোর বিরুদ্ধেও গোল করেন মেসি। তবে যে আক্ষেপ তাঁর আগের চারটি বিশ্বকাপে ছিল, তা মিটেছে শনিবার। নকআউটে প্রথম গোল এসেছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।