ফ্রান্সের ডিফেন্ডার জুলস কৌন্ডেকে সোনার হার পরে মাঠে নামতে দেখা গিয়েছে। ছবি: টুইটার
পোল্যান্ডকে ৩-১ হারিয়ে অনায়াসে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছে ফ্রান্স। জোড়া গোল করে একাধিক নজির গড়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। সেই ম্যাচে বিতর্কে জড়ালেন তাঁর সতীর্থ। অভিযোগ, ম্যাচে সোনার হার পরে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। এই কাজ ফিফার নিয়মবিরুদ্ধে। তবে এখনও পর্যন্ত ফিফার তরফে কোনও আপত্তি করা হয়নি।
ফ্রান্সের ডিফেন্ডার জুলস কৌন্ডেকে সোনার হার পরে মাঠে নামতে দেখা গিয়েছে। ৪১ মিনিটে রেফারি জেসুস ভালেনজুয়েলা নির্দেশ দেন হার খুলে রাখতে। রেফারির নির্দেশ মেনে কৌন্ডে হার খুলে রাখেন। কিন্তু তাঁকে মাঠে কেন সোনার হার পরে নামতে দেওয়া হল এবং এত ক্ষণ খেলতে দেওয়া হল, সেটা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
খুলে নেওয়া হচ্ছে কৌন্ডের সোনার হার। ছবি: রয়টার্স
ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ফুটবলার এমন কিছু সঙ্গে নিয়ে বা পরে নামতে পারবেন না যা অপরের কাছে বিপজ্জনক। যে কোনও ধরনের গয়না (হার, আংটি, ব্রেসলেট, কানের দুল, চামড়ার ব্যান্ড, রাবার ব্যান্ড ইত্যাদি) পরে নামা নিষিদ্ধ। এমনকি, কোনও বস্তু দিয়ে সেই গয়না আড়াল করাও যাবে না। মাঠে নামার আগে প্রত্যেক ফুটবলার এবং পরিবর্ত ফুটবলারকে পরীক্ষা করবেন রেফারি। যদি কোনও ফুটবলার অস্বীকৃত কোনও গয়না পরে নামেন, তা হলে রেফারি তাঁকে সেটি খুলে রাখার নির্দেশ দিতে পারেন। যদি ফুটবলার ইচ্ছুক না হন তা হলে তাঁকে সতর্ক করা হতে পারে কার্ড দেখিয়ে।
কৌন্ডেকে সোনার হার পরিহিত অবস্থায় টিভিতে দেখা যায়। তখনই সমাজমাধ্যমে সমর্থকরা আপত্তি জানিয়েছিলেন। অবশেষে নড়েচড়ে বসেন ম্যাচ পরিচালকরা। কৌন্ডেকে সোনার হার খুলে ফেলতে হয়।