যে কোনও মূল্যে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের টিকিট চান ইংল্যান্ডের সমর্থকরা। ছবি: টুইটার।
বিশ্বকাপ ফুটবলে ইংল্যান্ড-ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনাল ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। লাফিয়ে লাফিয়ে বা়ড়ছে টিকিটের চাহিদা। দু’দেশের ফুটবলপ্রেমীরাই যে কোনও মূল্যে ম্যাচের টিকিট পেতে চাইছেন। তাতেই আকাশ ছুঁয়েছে টিকিটের দাম।
অর্থনীতির নিয়মেই চাহিদা এবং যোগানের সম্পর্ক ব্যস্তানুপাতিক। অর্থাৎ, চাহিদা অনুযায়ী যোগান থাকলে দাম কমে। যোগান চাহিদার থেকে কম হলে দাম বাড়ে। ইংল্যান্ড-ফ্রান্স বিশ্বকাপের ম্যাচ ঘিরে ঠিক সেটাই হচ্ছে। টিকিটের সংখ্যা নির্দিষ্ট। অথচ চাহিদা বেড়েই চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দামও। বাড়তে বাড়তে কালোবাজারে এক জোড়া টিকিটের দাম হয়েছে আসল দামের ২৮ গুণ বেশি। ইংল্যান্ড-ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের সব থেকে কম মূল্যের এক জোড়া টিকিটের দাম ১৭৫ পাউন্ড বা ১৭ হাজার ৬০০ টাকা। সেই টিকিটই কাতারে বিকোচ্ছে ৫ হাজার পাউন্ড বা ৫ লাখ টাকারও বেশি দিয়ে।
টিকিটের চাহিদা বেশি ইংল্যান্ডের সমর্থকদের মধ্যে। শনিবার আল বায়েত স্টেডিয়ামে সাড়ে ন’হাজার ইংরেজ হ্যারি কেনদের সমর্থন করতে উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকেই আগে থেকে টিকির কেটে রেখেছিলেন। যাঁরা কেটে রাখেননি, তাঁরা পড়েছেন সমস্যায়। আগে টিকিট কেটে রেখেছিলেন অথচ তাঁদের প্রিয় দল শেষ আটে উঠতে পারেনি, সে রকম অনেকে সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন। প্রায় নিলাম চলছে বিশ্বকাপের এই ম্যাচের টিকিট নিয়ে। চড়া দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন শনিবারের ম্যাচের টিকিট। দাবি করছেন আকাশ ছোঁয়া দাম। মরিয়া ইংরেজরা সেই দামেই সংগ্রহ করছেন কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট।
কাতারের আইন অনুযায়ী কালোবাজারি নিষিদ্ধ। বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির অধিকার রয়েছে এক মাত্র ফিফার। কালোবাজারি বন্ধ করতে কাতার পুলিশ, বিশ্বকাপের আয়োজকরা এবং ফিফা যৌথ ভাবে নাগাড়ে প্রচার চালাচ্ছে। তবু কে কার কথা শোনে। কড়া নজরদারি এড়িয়েই চলছে টিকিটের বেআইনি বেচা-কেনা। চড়ছে দাম।