দ্বিতীয় বার ফুটবল বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া হ্যারি কেনের ইংল্যান্ড। ছবি: টুইটার।
ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর কয়েক ঘণ্টা। সব দলই ব্যস্ত চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে। দোহায় শিবিরে শিবিরে প্রতিপক্ষকে দেখে নেওয়ার, মেপে নেওয়ার মেজাজ। ইংল্যান্ড শিবিরেও আছে। সঙ্গে আছে রূপচর্চাও।
ইংল্যান্ডের কয়েক জন ফুটবলার অনুশীলনের পাশাপাশি মন দিয়েছেন রূপচর্চায়। তাতে নাকি বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে ফুটবলের বিশ্বযুদ্ধে। সাধারণত মহিলারা রূপের যে চর্চা করেন, সেটাই করছেন ইংল্যান্ডের রক্ষণ ভাগের ফুটবলাররা। পায়ের সব লোম তুলে ফেলেছেন তাঁরা। মসৃণ, ঝকঝক করছে তাঁদের পায়ের ত্বক।
খেলা হবে পায়ে পায়ে। তাই কি পায়ের এত যত্ন? খানিকটা তো বটেই। বেন হোয়াইট, কিয়েরান ট্রিপিয়ার, কাইল ওয়াকাররা পায়ের সব লোম তুলে ফেলেছেন। দু-তিন দিন অন্তর পা সাফ করছেন তাঁরা। পায়ের ত্বকে ব্যবহার করছেন নানা রকম ক্রিমও। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির স্ট্রাইকার জ্যাক গ্রিলিশ অবশ্য সম্পূর্ণ তুলে ফেলেননি লোম। তিনি কাচি দিয়ে ছেঁটে দিয়েছেন। বিশ্বকাপ খেলতে এসে এ সব কী করছেন তাঁরা! ফুটবল ছেড়ে রূপচর্চায় কেন মন ইংরেজদের?
লোমহীন পা কেমন দেখতে লাগছে, তা নিয়ে একদমই মাথাব্যথা নেই ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের। খেলার সুবিধার জন্যই পায়ের লোম তুলে ফেলছেন তাঁরা। স্লাইড করতে গিয়ে অনেক সময় ছিঁড়ে যায় পায়ের লোম। এর ফলে লোমফোঁড়া হয় অনেক সময়। ব্যথা-যন্ত্রণা হয়। অসুবিধা হয় খেলতে। সেই সমস্যা দূর করতেই পায়ের লোম তুলে ফেলছেন ইংরেজরা। তাতে স্লাইড করা যাবে নির্ভাবনায়। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা বিপক্ষের ফুটবলারকে স্লাইডিং ট্যাকল করতে সমস্যা হবে না। আবার গোল করার ক্ষেত্রেও স্বচ্ছন্দে স্লাইড করা যাবে। একটা বিশ্বকাপ খেলার জন্য ফুটবলাররা কত রকম ত্যাগই না করেন। আর এ তো সামান্য পায়ের লোম। আরও সুবিধা রয়েছে। অনেক ফুটবলার বলেন, পায়ে লোম না থাকলে সিন প্যাড পরতে সুবিধা হয়। তাতে খেলাও যায় স্বচ্ছন্দে। ভাল হয় পারফরম্যান্স।
ইংল্যান্ডের একাধিক ফুটবলার খেলার সুবিধার জন্য পায়ের ওয়াক্সিং করছেন। ছবি: টুইটার।
ইংরেজদের এই ভাবনা নতুন নয়। বরং বেশ পুরনো। ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে গ্যারি লিনেকারও এমন করেছিলেন। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন স্ট্রাইকার পায়ের লোম তুলে ছিলেন অন্য কারণে। তাঁর পায়ের লোম ছিঁড়ে সংক্রমণ হয়েছিল। মজার তথ্য, সে বার তিনি জিতে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার সোনার বুট। ২০১৭ সালে রিয়েল মাদ্রিদের মার্কো অ্যাসেনসিয়ো সংক্রমণের জন্য খেলতে পারেননি কয়েকটি ম্যাচ।