এ বারের বিশ্বকাপের সেরা তিন গোলরক্ষক। (বাঁ দিক থেকে) লিভাকোভিচ, মার্তিনেস ও বোনো। —ফাইল চিত্র
এ বারের বিশ্বকাপের সেরা তিন গোলরক্ষক। তিন জনই ম্যাচের পর ম্যাচে বাঁচাচ্ছেন নিজেদের দলকে। তাঁদের দল যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে তার অন্যতম কারণ তাঁরা। এ বারের বিশ্বকাপের সেরা তিন নায়ক ডোমিনিক লিভাকোভিচ, এমিলিয়ানো মার্তিনেস ও বোনো।
লিভাকোভিচ ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক। তিনি কতটা দক্ষ তার পরিচয় এ বারের বিশ্বকাপে দু’টি ম্যাচে দেখা গিয়েছে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ও কোয়ার্টার ফাইনাল দু’ক্ষেত্রেই টাইব্রেকারে জিতেছে ক্রোয়েশিয়া। দু’টি ম্যাচেই নায়ক হয়ে উঠেছেন লিভাকোভিচ।
জাপানের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে তিনটি পেনাল্টি বাঁচিয়েছিলেন লিভাকোভিচ। তাঁর হাতেই জাপানিদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। সেখানেই শেষ নয়। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে আরও এক বার দলের ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ১২০ মিনিটের ম্যাচে নেমারদের ১৩টি শট বাঁচিয়েছেন তিনি। তার পর টাইব্রেকারে রদ্রিগোর শট প্রতিহত করেছেন। টাইব্রেকারে হেরে নেমারদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে।
সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া যাদের বিরুদ্ধে খেলবে সেই আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্তিনেসও এ বার দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে তাঁর দল হারিয়েছে নেদারল্যান্ডসকে। সেখানে নায়ক হয়েছেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের প্রথম দু’টি পেনাল্টি বাঁচিয়েছেন তিনি। মেসিদের সেমিফাইনালে তুলেছেন।
এ বারের বিশ্বকাপের চমক মরক্কো। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসাবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। দলের ধারাবাহিকতার পিছনে অন্যতম কারণ বোনো। বিশ্বকাপে মাত্র ১টি গোল খেয়েছেন তিনি। তাও সেটি সতীর্থের আত্মঘাতী গোল।
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়েছে মরক্কো। সেখানে স্পেনের তিনটি শটই বাঁচিয়েছেন বোনো। পর্তুগালের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালেও গোলের নীচে পাহাড় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন।
এ বারের বিশ্বকাপে লিয়োনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপেরা নিজেদের ছাপ রাখছেন। দলগত খেলা দেখা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে দুর্দান্ত কিছু গোল। ঠিক তেমনই গোলের নীচে চুপিসারে নিজেদের কাজ করে যাচ্ছেন লিভাকোভিচ, মার্তিনেস, বোনোরা। বিশ্বকাপের নীরব নায়ক তাঁরা।