বিশ্বকাপে স্বপ্নের ছন্দে রয়েছেন মেসি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা করছে না ক্রোয়েশিয়া। ফাইল চিত্র
তিনি যখনই খেলতে নামেন, তাঁর গায়ের কাছে থাকে বিপক্ষ দলের ফুটবলার। তিনি বল ধরলেই ছুটে আসেন তিন থেকে চার জন। কোনও ভাবেই যাতে লিয়োনেল মেসি সেই ফাঁদ থেকে বেরতে না পারেন সেই চেষ্টা করতে থাকেন। সেই মেসিকেই কিনা আটকানোর চেষ্টা করবেন না বলে জানিয়ে দিলেন ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলার। কেন?
ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলার ব্রুনো পেটকোভিচ জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন, মেসিকে একা আটকালে হবে না। গোটা দলকেই আটকাতে হবে। পেটকোভিচ বলেছেন, ‘‘আমরা মেসিকে আটকানোর কোনও পরিকল্পনা এখনও করিনি। সাধারণত আমরা কোনও এক জনকে আটকানোর চেষ্টা করি না। গোটা দলকে আটকানোর পরিকল্পনা করে নামি।’’
তাই বলে মেসিকে আটকানোর পরিকল্পনা করবেন না তাঁরা! বিশ্বকাপের স্বপ্নের ফর্মে থাকা মেসি কী করতে পারেন সেটা কি ক্রোয়েশিয়ার অজানা? পেটকোভিচ বলেছেন, ‘‘মেসির জন্য আলাদা করে কাউকে রাখব না। কারণ, আর্জেন্টিনা দলে মেসি ছাড়াও আরও কয়েক জন ভাল ফুটবলার রয়েছে। তাই গোটা দলকে আটকাতে হবে। গোটা দল আটকে গেলে একা মেসি কিছু করতে পারবে না। কিন্তু শুধু মেসিকে আটকাতে গেলে ফল উল্টোটা হতে পারে।’’
সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে কার্ড সমস্যায় নেই ক্রোয়েশিয়ার কোনও ফুটবলার। পুরো দলকেই পাবেন কোচ জ্লাটকো ডালিচ। মেসি যেমন মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরি করেন, তেমনই ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠ তাঁদের প্রধান শক্তি বলে জানিয়েছেন পেটকোভিচ। বলেছেন, ‘‘লুকা মদ্রিচ, মাতেও কোভাচিচ ও মার্সেলো ব্রোজ়োভিচ ক্রোয়েশিয়ার ইতিহাসের সেরা তিন মিডমিল্ডার। ওদের পাস দেওয়ার পরে আমাদের আর কিছু ভাবতে হয় না।’’
ব্রাজিলের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সময়ে ১১৭ মিনিটের মাথায় ক্রোয়েশিয়ার হয়ে সমতা ফিরিয়েছিল পেটকোভিচের গোল। তার পরে পেনাল্টিতে ব্রাজিলকে হারিয়েছিলেন তাঁরা। তেকাঠির নীচে লিভাকোভিচ থাকায় তাঁরা অনেক ঠান্ডা মাথায় পেনাল্টি নিতে পারছেন বলে জানিয়েছেন পেটকোভিচ। তিনি বলেছেন, ‘‘পেনাল্টি নেওয়ার সময় মানসিক দৃঢ়তা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সেই সময় মাথার উপর প্রচণ্ড চাপ থাকে। কিন্তু দলে লিভাকোভিচের মতো গোলরক্ষক থাকলে চাপ অনেকটাই কমে যায়।’’