দ্বিতীয় পর্বে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে এক বছর পাঁচ মাস খেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। —ফাইল চিত্র
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। কিন্তু তার আগে রোনাল্ডোর পিছনে বড় খরচ করতে হয়েছে ম্যান ইউকে। রোনাল্ডোর দ্বিতীয় পর্বে লাল ম্যাঞ্চেস্টারকে তাঁর প্রতিটি গোলের জন্য প্রায় ১২ কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে।
প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫ কোটি টাকার চুক্তিতে জুভেন্টাস থেকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে সই করেছিলেন রোনাল্ডো। দু’বছরের চুক্তি ছিল তাঁর। কিন্তু এক বছর পাঁচ মাস পরেই পারস্পরিক সম্মতিতে লাল ম্যাঞ্চেস্টার ছেড়েছেন রোনাল্ডো। তার জন্য অবশ্য বাকি সাত মাসের পারিশ্রমিক পাবেন না তিনি। অর্থাৎ, ১৫৮ কোটি টাকা পাবেন না রোনাল্ডো।
কিন্তু এর মধ্যেই রোনাল্ডো পারিশ্রমিক বাবদ ৩১৭ কোটি টাকা পেয়েছেন। এক বছর পাঁচ মাসে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৭টি গোল করেছেন রোনাল্ডো। অর্থাৎ, তাঁর প্রতিটি গোলের জন্য প্রায় ১২ কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে।
দীর্ঘ দিন ধরে ম্যান ইউর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছিল রোনাল্ডোর। দলের কোচ এরিক টেন হ্যাগের সঙ্গে একেবারেই বনিবনা হচ্ছিল না তাঁর। এই মরসুমে বেশির ভাগ ম্যাচে বেঞ্চে বসে থাকছিলেন রোনাল্ডো। শেষ পর্যন্ত দল ছাড়েন তিনি।
ম্যাঞ্চেস্টার ছাড়ার পরে কোনও সাংবাদিক বৈঠক করেননি রোনাল্ডো। কিন্তু নেটমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘ম্যান ইউয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ওদের সঙ্গে আলোচনা করেই ক্লাব ছাড়ব ঠিক করি। সিদ্ধান্তটা দু’তরফেরই। তবে আমি কিন্তু আজও ম্যান ইউকে ভালবাসি। ভালবাসি সমর্থকদেরও। এই জায়গাটা চিরকাল একই রকম থাকবে। একইসঙ্গে আবার এটাই হয়তো নতুন পরীক্ষা দেওয়ার সেরা সময়। ব্যক্তিগত ভাবে ম্যান ইউকে বাকি মরসুম ও ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম।’’
রোনাল্ডোর প্রাক্তন সতীর্থ ওয়েন রুনি আরও একবার তোপ দেগেছেন। প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক সরাসরি বলে দিয়েছেন, ‘‘ওর সাক্ষাৎকার পড়লে যে কেউ লজ্জিত হবে। নিজের ক্লাবের প্রতি প্রত্যেকের দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। রোনাল্ডোর জন্য নিয়ম বদলে যেতে পারে না। ম্যান ইউ তো ওরই ক্লাব ছিল, এখানে ও অনেক খুশি ছিল। তার পরে যা হয়েছে, সেটা দেখে মনে হয়েছে, ওই রকম একটা সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার পরে ওকে আর দলে রাখা সম্ভব ছিল না।’’