ওয়েলসকে হারানোর পরে উচ্ছ্বাস ইরানের। এই ম্যাচ ঘিরেই শুরু বিতর্ক। ছবি: রয়টার্স
ওয়েলসের বিরুদ্ধে জয়ের পরে ইরানের ফুটবলারদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান। ইরানের সংস্কৃতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। সেই কারণে ফিফার পদ থেকে ক্লিন্সম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছেন ইরানের কোচ কার্লোস কুইরোজ়।
ওয়েলস ম্যাচের পরে ক্লিন্সম্যান একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেছিলেন, ‘‘এটাই ওদের সংস্কৃতির অঙ্গ। এ ভাবেই ওরা পরিকল্পনা করে। সারা ক্ষণ রেফারিকে চাপে রাখার চেষ্টা করে। ওদের বেঞ্চ সবসময় লাফালাফি করে। চতুর্থ রেফারি ও লাইন্সম্যানের সঙ্গে কথা বলতে থাকে। সব কিছু তো বাইরে থেকে দেখা যায় না।’’
ক্লিন্সম্যানের এ কথা ভাল ভাবে নেননি ইরানের কোচ। তাঁর দাবি, একটি দেশের সংস্কৃতি না জেনে কী ভাবে মন্তব্য করতে পারেন জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ক্লিন্সম্যান। ফিফার টেকনিক্যাল স্টাডি কমিটি থেকে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি। কুইরোজ় বলেছেন, ‘‘আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে না চিনে আমার চরিত্র নিয়ে আপনি কথা বলেছেন। আপনি মাঠের মধ্যে হয়তো অনেক ভাল খেলা উপহার দিয়েছেন, কিন্তু ইরানের ফুটবল দল ও সংস্কৃতি নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা ফুটবলের লজ্জা। কারও ভাবাবেগে এ ভাবে আঘাত দেওয়া ঠিক নয়।’’
ইরানের সংস্কৃতি ঠিক কী সেটা জানার জন্য ক্লিন্সম্যানকে সে দেশে আমন্ত্রণ করেছেন কুইরোজ়। বলেছেন, ‘‘আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমাদের জাতীয় শিবিরে আসুন। ইরানের ফুটবলারদের সঙ্গে সময় কাটান। তা হলে বুঝতে পারবেন ইরানের শিক্ষা, সংস্কৃতি, আতিথেয়তা কী রকম!’’
এ রকম মন্তব্য করার জন্য ফিফাকে পদক্ষেপ করার আবেদন করেছেন কুইরোজ়। তিনি বলেছেন, ‘‘আপনি কাতার বিশ্বকাপের টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপের সদস্য। এ রকম পদে থেকে এই মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। আশা করছি আপনি পদত্যাগ করবেন। নইলে ফিফার উচিত হস্তক্ষেপ করা।’’
বিতর্কের মাঝে নিজের সুর বদলেছেন ক্লিন্সম্যান। তিনি জানিয়েছেন, ইরানের ফুটবলারদের অসম্মান করার জন্য কিছু বলেননি তিনি। ক্লিন্সম্যান বলেছেন, ‘‘আমি বলতে চেয়েছিলাম খেলা চলাকালীন ইরানের ফুটবলাররা কতটা উত্তেজিত থাকে। তারা সবসময় খেলার মধ্যে থাকে। কিন্তু অনেকে ভেবেছেন, আমি বলতে চেয়েছি, রেফারিকে চাপে রাখার চেষ্টা করে ইরান। সেটা ঠিক নয়। ফুটবলের প্রতি তাদের আবেগকে অন্য ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম আমি।’’