Neymar

সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচে দলের সঙ্গে মাঠে গেলেন না নেমার, চোট নিয়ে কোথায় থাকলেন তিনি?

সোমবারের ম্যাচে নেমারের জায়গায় নামানো হয়েছে ফ্রেডকে। রদ্রিগোর খেলার কথা থাকলেও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবলারকেই বেছে নেন তিতে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ২২:০৯
Share:

হোটেলের ঘরেই থাকলেন নেমার। ফাইল ছবি

চোটের জন্য গ্রুপ পর্বের দু’টি ম্যাচে খেলতে পারবেন না তিনি। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের দিন মাঠেও গেলেন না নেমার। হোটেলেই তাঁর চিকিৎসা চলল। ব্রাজিল দলে চোট পাওয়া আর এক ফুটবলার দানিলো অবশ্য বাকি দলের সঙ্গে স্টেডিয়ামে গেলেন উৎসাহ দিতে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, হোটেলের ঘরে নেমারের ফিজিয়োথেরাপির সেশন ছিল। তাই দলের সঙ্গে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হোটেলের ঘরে বসেই খেলা দেখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দলের তরফেও কোনও আপত্তি করা হয়নি। দলের প্রধান লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব নেমারকে সুস্থ করে তোলা। সে কারণেই চিকিৎসকরা দিন রাত খাটছেন।

সোমবারের ম্যাচে নেমারের জায়গায় নামানো হয়েছে ফ্রেডকে। রদ্রিগোর খেলার কথা থাকলেও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবলারকেই বেছে নেন তিতে। আক্রমণ ভাগে রিচার্লিসনের পাশে জুড়ে দেওয়া হয়েছে লুকাস পাকুয়েতাকে। রাইট ব্যাকে দানিলোর জায়গায় স্বাভাবিক ভাবেই খেলছেন এদের মিলিটাও।

Advertisement

সার্বিয়া ম্যাচে চোট পাওয়ার পর নেমার সমাজমাধ্যমে এক পোস্টে লেখেন, “ব্রাজিলের জার্সি পরার গর্ব এবং ভালবাসা বোঝানো সম্ভব নয়। আমাকে যদি ঈশ্বর জিজ্ঞেস করেন কোন দেশে জন্ম নিতে চাও, আমি বলব ব্রাজিল। আমি জীবনে কিছু সহজে পেয়ে গিয়েছি, এমন নয়। আমাকে সব সময় নিজের স্বপ্ন এবং লক্ষ্যের দিকে দৌড়তে হয়েছে। কখনও কারও খারাপ চাইনি। সকলকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। আমার জীবনের আরও একটা কঠিন সময়। আবার একটা বিশ্বকাপেই চোট পেলাম। হ্যাঁ, চোট রয়েছে আমার। কষ্ট হচ্ছে। ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে আমার। সেই চেষ্টা আমি করব। দেশ, সতীর্থ এবং নিজের জন্য ফিরে আসতে হবে। আমাকে এই ভাবে মারার জন্য শত্রুদের খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। আমি ঈশ্বরের পুত্র, তাঁর উপর বিশ্বাস আছে আমার।”

২০১৪ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন নেমার। মাঠ ছাড়তে হয়েছিল স্ট্রেচারে করে। সেমিফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে খেলতে নামার সময় দেখা গিয়েছিল নেমারের সতীর্থরা তাঁর জার্সি ধরে দাঁড়িয়ে আছেন জাতীয় সঙ্গীতের সময়। সেই ম্যাচে সাত গোল খেয়েছিল ব্রাজিল। ১-৭ গোলে হারের যন্ত্রণা এখনও ভোলেননি কোনও সমর্থক। এ বার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই চোট পান নেমার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement