রোনাল্ডোরা উঠে গেলেন প্রি-কোয়ার্টারে। ছবি: রয়টার্স
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে সুইৎজারল্যান্ডকে হারিয়ে দিল ব্রাজিল। গ্রুপের টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে শেষ ষোলোয় উঠে গেল সেলেকাওরা। পরের ম্যাচে উরুগুয়েকে হারিয়ে প্রি-কোয়ার্টারে উঠে গেল পর্তুগালও।
শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে হারলেও সমস্যা হবে না ব্রাজিলের। দুই ম্যাচে ছ’পয়েন্ট হল তাদের। চলতি বিশ্বকাপে ফ্রান্সের পর দ্বিতীয় দল হিসাবে প্রি-কোয়ার্টারে পৌঁছে যায় ব্রাজিল। তৃতীয় দল হিসাবে উঠে যায় পর্তুগাল। তারাও শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে হারলে সমস্যা হবে না।
ব্রাজিল বনাম সুইৎজারল্যান্ডের মধ্যে যে দল জিতত, তাদের সরাসরি শেষ ষোলোয় উঠে যাওয়ার কথা ছিল। কারণ এই ম্যাচে নামার আগে দু’দলের কাছেই ছিল তিন পয়েন্ট। ব্রাজিল জেতায় তিন পয়েন্ট পেল। ফলে শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে এখন শক্তি পরীক্ষা করে নেওয়ার লড়াই রিচার্লিসন, ভিনিসিয়াসদের।
ফ্রান্স, ব্রাজিল এবং পর্তুগাল পরের রাউন্ডে গিয়েছে। বিশ্বকাপ থেকে ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে আয়োজক কাতার এবং কানাডা। বাকি গ্রুপ গুলির যা পরিস্থিতি, তাতে এখনও আর কেউ বিদায় নেয়নি।
বিশ্বকাপে গ্রুপ জি-তে রয়েছে ব্রাজিল। তাদের পরেই রয়েছে সুইৎজারল্যান্ড। তাদের দুই ম্যাচে রয়েছে তিন পয়েন্ট। গ্রুপের বাকি দুই প্রতিপক্ষ ক্যামেরুন এবং সার্বিয়ার এক পয়েন্ট করে রয়েছে। গোল পার্থক্যে সার্বিয়া রয়েছে চতুর্থ স্থানে। শেষ ম্যাচে সার্বিয়া খেলবে সুইৎজারল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে সুইৎজারল্যান্ড জিতলে বা ড্র করলে শেষ ষোলোয় উঠে যাবে। কিন্তু হেরে গেলে উঠে যাবে সার্বিয়া।
অন্য দিকে, ব্রাজিলকে যদি ক্যামেরুন হারিয়ে দেয় এবং সুইৎজারল্যান্ড যদি ড্র করে, তা হলে দু’দলের গোল পার্থক্য দেখা হবে। একই হবে ক্যামেরুন ব্রাজিলকে হারালে এবং সার্বিয়া সুইৎজারল্যান্ডকে হারালে তখন দু’দলের পয়েন্ট হবে চার। তখনও গোল পার্থক্য দেখা হবে।
একই ভাবে, পর্তুগালের সঙ্গে পরের রাউন্ডে যেতে পারে ঘানা। তারা যদি শেষ ম্যাচে উরুগুয়েকে হারাতে বা ড্র করতে পারে, তা হলে পরের রাউন্ডে যাবে। উরুগুয়ে জিতে গেলে তারাই যাবে পরের রাউন্ডে।