সৌদি আরবের বিরুদ্ধে খেলা নিয়ে কথা বললেন মেসি। ছবি: রয়টার্স
কাতারে নামার পর দু’দিন ভাল করে অনুশীলন করেননি। তার পরে একা একাই অনুশীলন করেন। সোমবার অনুশীলনের সময় দেখা যায় তাঁর বাঁ পা কিছুটা ফোলা। লিয়োনেল মেসি কি তা হলে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন? প্রশ্নটা শুধু আর্জেন্টিনীয়দের নয়, আপামর বিশ্বের মেসিপ্রেমীদেরই ছিল। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে সব উত্তর দিলেন মেসি নিজেই।
আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বলেছেন, “শারীরিক ভাবে খুবই ভাল জায়গায় রয়েছি। একটা দারুণ দলের সঙ্গে খেলতে চলেছি। এখন পুরোপুরি ফিট। কোনও সমস্যা নেই। শুনেছি আমি একা অনুশীলন করায় অনেকে অনেক কিছু বলেছে। আমার হালকা একটা চোট ছিল। তাই সাবধানতা রাখতেই একা অনুশীলন করি। এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। একটা অন্য সময় বিশ্বকাপ হচ্ছে এ বার। শারীরিক সক্ষমতাও অন্য রকম থাকবে। আগে বিশ্বকাপের আগে এক মাসের প্রস্তুতি নেওয়া যেত। এখন সেই সময় নেই। দ্রুত খেলা হয়। জানতাম এমনই হবে। সে ভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি।”
এটাই দেশের হয়ে মেসির শেষ বিশ্বকাপ। আলাদা কি কোনও প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি? মেসি বলেছেন, “একদমই নয়। কম ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপে এসেছি। কিন্তু খেলার মধ্যে থাকতে থাকতেই এসেছি। তাই কোনও অস্বস্তি হচ্ছে না। ছন্দেই আছি। তাই আলাদা করে কোনও প্রস্তুতির দরকার হচ্ছে না। নিজের খেয়াল রেখেছি। যে ভাবে গোটা জীবনে প্রস্তুতি নিয়েছি, সে ভাবেই এ বারও করেছি। এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। একটা স্বপ্ন পূরণ করার শেষ সুযোগ।”
নিজের দল নিয়েও খুশি মেসি। বলেছেন, “আশা করি যে ভাবে এত দিন খেলে এসেছি, সে ভাবেই খেলতে পারব। প্রতি ম্যাচেই আমরা উন্নতি করছি। সেটা মাঠে আমাদের খেলার ফল দেখেও বোঝা যাচ্ছে। বিশ্বকাপ প্রথম ম্যাচ বরাবরই কঠিন। তার উপর এ বার অনেকে প্রথম বিশ্বকাপ খেলছে। তাই নার্ভ ধরে রাখা কঠিন। প্রথম পাঁচ মিনিটের পর আশা করি আমরা স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারব। প্রতিপক্ষকে সমীহ করেই নামব আমরা।”
শুধু আর্জেন্টিনা নয়, মেসির হাতে বিশ্বকাপ উঠুক এটা প্রায় গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরাই চাইছেন। সেই নিয়ে মেসি বলেছেন, “যারা আর্জেন্টিনীয় নন, কিন্তু আমাদের জয় দেখতে চাইছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ। গোটা ফুটবলজীবনে যে ভালবাসা পেয়েছি তার জন্য ভাগ্যবান। যেখানে গিয়েছি ভালবাসা পেয়েছি।”
মেসির সংযোজন, “জানি না এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির মুহূর্ত কি না। তবে আমার খুব ভাল লাগছে। প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করার চেষ্টা করব। কোপা আমেরিকাতেও তাই হয়েছিল। এখন বরং আরও বেশি খেলাটাকে উপভোগ করি।”