এ বারই শেষ বার ফুটবল বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাবে মেসিকে। ভাল ছন্দে রয়েছেন তিনি। প্রস্তুতি ম্যাচে ভাল খেলেছেন মেসি। ছবি: ইমাগো
বিশ্বকাপ খেলতে কাতার যাওয়ার সময় নিজেদের সঙ্গে ২৬৩০ কেজি গোমাংস নিয়ে গিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রতিযোগিতা চলাকালীন যাতে খাবারের জোগানে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য আগে থেকেই তৈরি তারা। কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি মেসির দল।
বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর মাত্র এক দিন। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সব দল। কাতার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মেসিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যেখানে থাকেন সেখানেই থাকছেন মেসিরা। বিশ্বকাপের আয়োজকরা আর্জেন্টিনার জন্য বিলাসবহুল বন্দোবস্ত করতে চাইলেও মেসিরা নিজেরাই নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তার একটা অন্যতম কারণ, হোস্টেল সংলগ্ন ফাঁকা জায়গা। সেখানে অনুশীলনের পাশাপাশি গোমাংস পুড়িয়ে খাবার ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা।
খেলোয়াড়দের পুষ্টির জন্য মাংস জরুরি হলেও পরিমাণ এত বেশি কেন? আর্জেন্টিনার এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পরিমাণ দেখে বেশি মনে হলেও আর্জেন্টিনা দলটা অনেক বড়। সেখানে খেলোয়াড়, কোচিং দল, মেডিক্যাল দল রয়েছে। তাই মাংসের পরিমাণ বেশি। তা ছাড়া আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে রাঁধুনি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর অর্থ তারা নিজেরাই রান্নার বন্দোবস্ত করবে। তাই একটু বেশি করেই গোমাংস নিয়ে গিয়েছে তারা।
কাতারে গিয়ে অনুশীলনের পাশাপাশি মাংসের নানা পদ রান্না শুরু হয়ে গিয়েছে। দলের গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ তার কিছু ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশও করেছেন।
আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে তাঁরা অনেক বার কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছেন। সেখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি দেখে সেখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, সেখানে তাঁরা খুব সহজেই নিজেদের পছন্দ মতো রান্না করতে পারবেন। কাতারে যাতে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা নিজেদের দেশের পরিবেশ পান তার জন্য সব রকমের চেষ্টা করছে দেশের ফুটবল সংস্থা।