বান্ধবী আন্তোনেল্লার অন্য সম্পর্কের কথা জেনে স্পেন থেকে আর্জেন্টিনায় ফিরে গিয়েছিলেন মেসি। ছবি: টুইটার।
এক সপ্তাহ আগেই বিশ্বকাপ জিতেছেন লিয়োনেল মেসি। জীবনের অন্যতম সেরা সময় কাটাচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে। বড় দিন উপলক্ষ্যে বিশেষ পার্টির আয়োজন করেছেন মেসি। এই সময়ই উদয় হলেন স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ়োর প্রাক্তন প্রেমিক।
সেই যুবক নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর। তিনি নিজেই আন্তোনেল্লার সঙ্গে সম্পর্কের কথা এক হার জানিয়েছিলেন সমাজমাধ্যমে। তা নিয়েই আবার হইচই শুরু হয়েছে। আন্তোনেল্লার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া নিয়ে সেই যুবক বলেছিলেন, ‘‘আন্তোনেল্লা আমাকে ছেড়ে দিয়েছে বেশ করেছে। যার তার জন্য তো আর ছাড়েনি। মেসির জন্য ছেড়েছে।’’ সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে তিনি বলেছিলেনন, ‘‘এক দিন আমরা আর পাঁচ দিনের মতোই দেখা করেছিলাম। আন্তোনেল্লা আমাকে কিছুই বলেনি। ব্যাগ থেকে শুধু একটা ব্ল্যাকবেরি ফোন বের করেছিল। বলেছিল, ফোনটা ওকে মেসি দিয়েছে। তাতেই বুঝে যাই মেসির সঙ্গে ওর সম্পর্কটা আবার জোড়া লেগে গিয়েছে। তার পর আর আমি এগোইনি।’’
আন্তোনেল্লার সঙ্গে মেসির পরিচয় ১০ বছর বয়সে। তাঁরা পরস্পরকে পছন্দ করতেন। বন্ধুত্ব তৈরি হতে বিশেষ সময় লাগেনি। তবু অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন আন্তোনেল্লা। মেসি ছোট বয়সেই বার্সেলোনার অ্যাকাডেমিতে যোগ দিতে স্পেন চলে যান। এতে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ কমে গিয়েছিল। ফুটবলের জন্য আর্জেন্টিনায় খুব একটা আসতেও পারতেন না মেসি। যোগাযোগ থাকলেও দীর্ঘ দিন দেখা না হওয়ায় মেসির প্রতি আকর্ষণ কমে যায় আন্তোনেল্লার।
সে সময় ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় আন্তোনেল্লার। ক্রমে বন্ধুত্ব এবং প্রেম। ২০০৭ সালে সেই যুবকের সঙ্গে নিয়মিত দেখা যেত আন্তোনেল্লাকে। বিষয়টি তখন জানতেন না মেসি। কিছু দিন পরে মেসি জানতে পারেন বিষয়টি। অন্য একটি ছেলের সঙ্গে বান্ধবীর সম্পর্কের কথা জেনে বিচলিত হয়ে পড়েন মেসি। চিঠি লেখেন ছোট বেলার বন্ধু তথা আন্তোনেল্লার ভাই লুকা স্কাগলিয়াকে। লুকার মাধ্যমেই আন্তোনেল্লার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল মেসির। চিঠিতে মেসি লেখেন, ‘‘এই ছেলেটা কে? আমরা তো এক দিন প্রেমিক-প্রেমিকা হব।’’ পরিস্থিতি অন্য দিকে যাচ্ছে বুঝে, ছুটি নিয়ে কয়েক দিনের জন্য আর্জেন্টিনায় ফেরেন মেসি। আন্তোনেল্লার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে তার পর স্পেনে ফিরেছিলেন।
আন্তোনেল্লার এক বন্ধু বলেছেন, ‘‘২০০৭ সালের ২০ জুলাই, ফ্রেন্ডশিপ ডে-তে ছেলেটির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল আন্তোনেল্লার। তার পর থেকে ওরা নিয়মিত দেখা করত।’’ আন্তোনেল্লার প্রাক্তন প্রেমিকের নাম অবশ্য কোনও পক্ষই প্রকাশ করেনি। সেই যুবকও নিজের নাম গোপন রেখেছেন। ২০১০ সালে আর্জেন্টিনার একটি সংবাদ পত্রে আন্তোনেল্লার নতুন সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই যুবকই আন্তোনেল্লার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা প্রকাশ করেছিলেন। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় কষ্ট পেলেও মেনে নিয়েছিলেন। তত দিনে অবশ্য মেসির সঙ্গে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেন আন্তোনেল্লা। ২০১২ সালে জন্ম হয় তাঁদের প্রথম সন্তান থিয়াগোর। ২০১৭ সালে আন্তোনেল্লাকে বিয়ে করেন মেসি।