হতাশা ভুলে মেক্সিকোকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা জিইয়ে রাখতে মরিয়া মেসিরা। ফাইল ছবি।
সৌদি আরবের কাছে প্রথম ম্যাচে অপ্রত্যাশিত ভাবে হেরে প্রবল তাপে আর্জেন্টিনা শিবির। শনিবার গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ মেক্সিকো। বিশ্বকাপ জয়ের আশা জিইয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে লিয়োনেল মেসিদের। শিবিরে চাপের কথা মেনে নিয়েছেন আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ়।
বিশ্বকাপের আগে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকা আর্জেন্টিনা শনিবারের ম্যাচকে ফাইনালের মতো গুরুত্ব দিচ্ছে। মার্টিনেজ় বলেছেন, ‘‘মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ম্যাচটা আমাদের কাছে ফাইনালের মতো। কারণ এই ম্যাচের ফলাফলের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে আমাদের বিশ্বকাপ ভবিষ্যৎ। অস্বীকার করার সুযোগ নেই প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হার আমাদের আত্মবিশ্বাসে কিছুটা হলেও ধাক্কা দিয়েছে। যদিও নিজেদের শক্তির উপর আস্থা রয়েছে আমাদের।’’
মেক্সিকোর বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়া কি সম্ভব এই পরিস্থিতিতে? মার্টিনেজ় বলেছেন, ‘‘আমরা ভুলগুলো শোধরাচ্ছি। মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছি। অতীত নয় আগামী নিয়ে ভাবছি আমরা। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে জয়ের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আপাতত শুধু শনিবারের ম্যাচ নিয়েই ভাবছি সকলে।’’ মার্টিনেজ় মনে করেন, সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হারার মতো খেলেননি তাঁরা। তাঁর যুক্তি, অফসাইডের জন্য তিনটি গোল পর পর বাতিল হওয়ায় দলের উপর চাপ তৈরি হয়ে।
পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে মেক্সিকো। তাই গ্রুপ থেকে সব দলেরই পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্টিনেজ় বলেছেন, ‘‘আমরা যথেষ্ট আশাবাদী। ছোট কিছু ভুলের জন্য আমাদের প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছে। সেগুলো বার বার হবে না আশা করি। পরের প্রতিপক্ষের খেলা আমরা দেখেছি। ওদের শক্তি এবং দুর্বলতার জায়গাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দলের সকলে লড়াইয়ের জন্য তৈরি।’’
আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালোনি জানিয়ে দিয়েছেন, দলে চোট আঘাতের সমস্যা নেই। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তি নিয়ে খেলতে পারবেন তাঁরা। সম্পূর্ণ ফিট রয়েছেন মেসিও। স্কালোনি বলেছেন, ‘‘যখন পরিস্থিতি নকআউটের মতো হয়ে যায়, তখন জেগে উঠতেই হয়। আমার দলের ছেলেরা যথেষ্ট যোগ্য সেটা করে দেখানোর জন্য। আমরা খেলার ধরন হয়তো কিছু পরিবর্তন করব। প্রথম একাদশেও পরিবর্তন করতে পারি। তবে যে ভাবে খেলছি, সে ভাবেই খেলব আমরা। আমার দল সব কিছু করার জন্য প্রস্তুত। বড় ধাক্কা খাওয়ার পর মাঠে নেমে যা যা করা দরকার, সব কিছু করতে তৈরি ছেলেরা।’’