শনিবার অনুশীলনে মেসি। ছবি: রয়টার্স
রবিবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নামছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের আগে থেকেই এই দ্বৈরথকে দেগে দেওয়া হচ্ছে লিয়োনেল মেসি বনাম কিলিয়ান এমবাপের লড়াই হিসাবে। ম্যাচের আগে মেসিকে নিয়ে আবেগাতুর আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালোনি। তেমনই বিশেষ পাত্তা দিতে রাজি হলেন না এমবাপেকে নিয়ে। শুধু এমবাপেকে নিয়ে ভাবতে রাজি নয় আর্জেন্টিনা।
সেমিফাইনালে জিতেই মেসি জানিয়ে দিয়েছেন, রবিবার বিশ্বকাপের মঞ্চে শেষ বার আর্জেন্টিনার হয়ে নামতে চলেছেন। ফল যা-ই হোক না কেন, সিদ্ধান্ত বদলাবেন না। তাই ট্রফি জিতেই মেসিকে বিদায় জানাতে চান স্কালোনি। বলেছেন, “যদি এটাই মেসির শেষ ম্যাচ হয় আর আমরা ট্রফি জিতি, তা হলে সেটা দারুণ ব্যাপার হবে। মেসি যাতে বিদায়বেলার মুহূর্তটা উপভোগ করতে পারে, সেটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।”
এর পরেই প্রশ্ন এল এমবাপেকে নিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে স্কালোনি বললেন, “ফ্রান্স দলের বিরুদ্ধে আমরা খেলতে নামছি। শুধু এমবাপে তো ওদের দলে খেলে না। তাই গোটা দলকে আটকানোর চেষ্টা করতে হবে। ওকে যারা বল বাড়ায়, তাদের আটকানোর চেষ্টা করতে হবে। তবে এমবাপে দারুণ খেলোয়াড়। ওর আশেপাশে এমন ফুটবলার আছে যারা ওকে আরও ভাল ফুটবলার বানিয়েছে। তরুণ ছেলে। আশা করি আগামী দিনে আরও অনেক উন্নতি করবে।”
এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা গেল স্কালোনিকে। এই বিশ্বকাপের আগে কেউ তাঁকে চিনত না। এখনও বোধহয় তিনি এমন একজন কোচ, ধারেভারে যার ওজন সবচেয়ে কম। সেই প্রসঙ্গ তুলে এনে স্কালোনি বললেন, “গত কাল সব ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। ওদের সবাইকে ধন্যবাদ জানালাম। আর কোনও শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ওরা আমাদের সব দিয়েছে। আশা করি ট্রফিটাও জিততে পারব। যদি না-ও পারি, তা হলে ওদের গর্বিত করতে পারব। মুহূর্তটা একসঙ্গে উপভোগ করতে চাই। ক্লাবে যে রকম কোচ ছিলাম, এখনও সে রকমই আছি। ভবিষ্যতেও তাই থাকব। আমার জায়গায় আসতে অনেকেই চেষ্টা করে। সবাই ভাগ্যবান হয় না। আমি ভাগ্যবান।”
তারই সঙ্গে একটি সুখবর দিলেন স্কালোনি। বলেছেন, “অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া পুরো ফিট হয়ে গিয়েছে। ও খেলবে। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধেও খেলতে পারত। কিন্তু ঝুঁকি না নিয়ে পুরো ম্যাচে নামাইনি। তবে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ওকে দেখা যাবে।” তবে সেই ম্যাচে কী দল খেলাবেন তা এ দিন খোলসা করেননি মেসিদের কোচ। বলেছেন, “কী দল হতে চলেছে সেটা ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছি। দুটো বিকল্প রয়েছে আমার হাতে। তবে কোনওটাতেই আমার দৃষ্টিভঙ্গির বদল হচ্ছে না। প্রতিপক্ষকে যাতে সর্ব ক্ষণ চাপে রাখা যায় সেই মনোভাব নিয়েই আমরা নামব।”