নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে নামার আগে চিন্তায় মেসিরা। ছবি: রয়টার্স
শুক্রবার রাতের নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা। এ বারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত লিয়োনেল মেসিদের কাছে যা কঠিনতম ম্যাচ হতে চলেছে। ম্যাচের আগে কোচ লিয়োনেল স্কালোনিকে ভাবাচ্ছে চোট সমস্যা। অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া, লাউতারো মার্তিনেসের পাশাপাশি চোট রয়েছে রদ্রিগো দি পলের। কী ভাবে সামাল দেবেন, সেটাই এখন চিন্তা স্কালোনির। তার মাঝেই নেদারল্যান্ডসের কোচ লুইস ফান হাল হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, শুক্রবার তাঁরা নামবেন প্রতিশোধের লক্ষ্যেই।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে স্কালোনি বলেছেন, “বুধবার রুদ্ধ দ্বার অনুশীলন করেছি আমরা। জানি না রদ্রিগোর সমস্যা সম্পর্কে বাইরে কী কী লেখা হয়েছে। ওর একটা সমস্যা রয়েছে এটা ঠিকই। তবে বাড়াবাড়ি কিছু নয় বলেই মনে হয়েছে। ও বুধবার ভাল ভাবেই অনুশীলন করেছে। কেউ কেউ ক্লান্তির কারণে অর্ধেক অনুশীলন করেছে। অনেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে গিয়েও অনুশীলন করে না। সংবাদমাধ্যমে যা বেরোয় সেটা অনেক সময় সত্যি হয় না।”
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে আলাদা করে মেসির কোনও ভূমিকা থাকছে? স্কালোনি বলেছেন, “লিয়ো এমনিতেই বাকিদের থেকে আলাদা। মাঝে মাঝেই ওর ভূমিকা বদলে যায়। কিন্তু এখনই সব বলে দিয়ে প্রতিপক্ষকে সতর্ক করে দিতে চাই না। আমরা যে সব ম্যাচ খেলেছি সেগুলো নিশ্চয়ই প্রতিপক্ষ দেখেছে।”
নকআউটের ম্যাচ পেনাল্টিতে গড়াতে পারে। তার জন্য কি আলাদা করে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে? স্কালোনির উত্তর, “ছেলেরা প্রতিদিনই অনুশীলন করে। আশা করি ম্যাচেও ওদের কোনও সমস্যা হবে হবে না। ১২০ মিনিটের পর পেনাল্টি নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। আমরা ম্যাচটা নির্ধারিত সময়েই জেতার লক্ষ্য রাখছি। যদি টাইব্রেকারের সময় চলে আসে, তখন ওটা নিয়ে ভাবব।”
এ দিকে, ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভেস্তে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডসের। তার আগে ১৯৭৮ সালের ফাইনালেও আর্জেন্টিনার কাছে হারে তারা। ২০১৪-তেও নেদারল্যান্ডসের কোচ ছিলেন ফান হাল। তিনি বলেছেন, “২০১৪-য় হারের যে তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছিল আমাদের, তা শুক্রবার মিটিয়ে দিতে চাই। আমার মতে, আর্জেন্টিনা বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। কিন্তু শুক্রবার থেকেই আমাদের আসল বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে। আগের ম্যাচগুলোর কোনও গুরুত্ব ছিল না সেটা বলছি না। কিন্তু আর্জেন্টিনা বা ব্রাজিল এমন দল যাদের সঙ্গে অতীতের কোনও দলেরই তুলনা চলে না।”
মাঠ ঠাসা থাকবে আর্জেন্টিনার সমর্থকে। সে প্রসঙ্গে ফান হাল বলেছেন, “আমার ফুটবলাররা যথেষ্ট পেশাদার। ওরা জানে কী ভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়। যদি গ্যালারিতে ৪০ হাজার আর্জেন্টিনীয় থাকে, তা হলে আমাদেরও হাজার হাজার সমর্থক থাকবে।”