শোনা গিয়েছে, ফুটবলারদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। ছবি: রয়টার্স
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পরেই বেলজিয়াম দলে ভাঙন আরও বড় হয়ে দেখা দিল। দলের সঙ্গে দেশে ফিরলেন না পাঁচ ফুটবলার। তাঁরা আলাদা করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। বাকিরা দেশে ফিরলেও শোনা গিয়েছে, ফুটবলারদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্ম যে এ ভাবে ভেঙে যাবে, সেটা কল্পনাই করতে পারছেন না ফুটবলপ্রেমীরা।
বিশ্বের দু’নম্বর দল বেলজিয়ামকে টপকে নকআউটে গিয়েছে মরক্কো এবং ক্রোয়েশিয়া। লুকা মদ্রিচের দলের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে প্রচুর সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেও গোল করতে পারেনি তারা। বিদায় নেওয়ার পর দোহা থেকে ব্রাসেলসে ফেরার জন্য আলাদা করে বিমানের ব্যবস্থা করেছিল বেলজিয়াম ফুটবল সংস্থা। কিন্তু টমাস মিউনিয়ের, অ্যাক্সেল উইটসেল, জেরেমি ডোকু, আর্থার থিয়েট এবং লোইস ওপেন্ডা দলের সঙ্গে যাননি। তাঁরা অন্য কোথাও ঘুরতে যাবেন। তার পর আলাদা করে দেশে ফিরবেন।
বেলজিয়াম দলের ভাঙনের নেপথ্যে অনেকেই তুলে আনছেন কেভিন দ্য ব্রুইনের নাম। বিশ্বকাপের মাঝেই এই মিডফিল্ডার বলে দেন, তাঁদের দলের ট্রফি জেতার ক্ষমতাই নেই। কারণ তাঁরা বুড়ো হয়ে গিয়েছেন। এই মন্তব্যে সতীর্থরাই ক্ষেপে যান। শোনা গিয়েছে, ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের পর ডিফেন্ডার টবি অল্ডারওয়েরেল্ডের সঙ্গে ব্যাপক ঝামেলা হয় দ্য ব্রুইনের। তার আগে মরক্কোর বিরুদ্ধে হারে বেলজিয়াম। সেই ম্যাচে দ্য ব্রুইনের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান এদেন অ্যাজার এবং জান ভার্টোঙ্গেন। রোমেলু লুকাকু এসে মধ্যস্থতা করেন।
বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যমের খবর, দলের অনেকেই আর দেশের হয়ে খেলতে চাইছেন না। আগামী কয়েক দিনে অবসর নেওয়ার লাইন লেগে যেতে পারে। দ্য ব্রুইন নিজেই নাকি আর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে ইচ্ছুক নন।