এআইএফএফের উপর থেকে নির্বাসন তুলে নিল ফিফা। প্রতীকী ছবি
সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার উপর থেকে নির্বাসন তুলে নিল ফিফা। শুক্রবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে এ কথা জানানো হয়েছে ফিফার তরফে। ১১ দিন পর উঠল নির্বাসন। ফলে অক্টোবরে মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ হতে আর কোনও বাধা থাকল না। এ দিন রাতের খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ভারতীয় ফুটবল সমর্থকরা।
গত ১৫ অগস্ট ভারতীয় সময় মধ্য রাতে এআইএফএফ-কে নির্বাসিত করেছিল ফিফা। সংস্থার কার্যকলাপে ‘তৃতীয় পক্ষের অনুপ্রবেশের’ কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এআইএফএফ-কে পাঠানো চিঠিতে ফিফা খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত প্রশাসক কমিটিকে (সিওএ) অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। দ্রুত নির্বাচন করতে হবে।
এর পরেই আসরে নামে কেন্দ্রীয় সরকার। গত সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নিজেদের নির্দেশ ফিরিয়ে নেয় এবং সিওএ বাতিল করে। এআইএফএফের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল সুনন্দ ধরের হাতে। পাশাপাশি, ফিফা এবং এএফসি যে ভাবে নির্দেশ দিয়েছে, তা মেনে চলার কথা বলা হয়। গোটা ঘটনার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে লিখিত আকারে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ জানিয়ে দেওয়া হয় ফিফাকে।
তার চার দিনের মাথায় নির্বাসন তুলে নিল ফিফা। এআইএফএফের নির্বাচন হওয়ার আগেই যে নির্বাসন তুলে নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। আনন্দবাজার অনলাইনেও সে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। তবে যত ক্ষণ সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা হচ্ছিল, তত ক্ষণ কেউই বিশ্বাস করতে চাইছিলেন না। সেই অপেক্ষা অবশেষে মিটল।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ হতে কোনও সমস্যা নেই। নির্ধারিত সূচি মেনেই তা আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর এটিকে মোহনবাগানও খেলতে পারবে এএফসি কাপের ম্যাচে। আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ কুয়ালা লামপুর সিটি।
শুক্রবার এআইএফএফ-কে পাঠানো চিঠিতে ফিফা জানিয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুযায়ী, সিওএ-র বিধান খারিজ করা হয়েছে। পাশাপাশি, এআইএফএফের দৈনন্দিন কাজকর্ম সামলাবেন সংস্থার কর্তাই, সেটাও বলা হয়েছে। এআইএফএফের নির্বাচন কী ভাবে সম্পন্ন হচ্ছে, তার উপর ফিফা এবং এএফসি নজর রাখবে।