ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ফাইল চিত্র
ঘোর সঙ্কটে ভারতীয় ফুটবল। ভারতীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) নির্বাসিত করল ফিফা। ‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের’ কারণে এই শাস্তির কথা ঘোষণা করেছে ফিফা। এর ফলে অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন যেমন প্রবল অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ল, তেমনি অন্ধকারে চলে গেল সুনীল ছেত্রীদের ফুটবল ভবিষ্যৎ। ফিফা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এখন এআইএফএফ-এর ক্ষমতায় রয়েছে কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স। এর বদলে যে দিন থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কমিটি এআইএফএফ-এর দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখতে শুরু করবে, সে দিন থেকে এই নির্বাসনের শাস্তি উঠে যাবে।’
আগামী ১১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর ভারতে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল হওয়ার কথা। তার মধ্যে পরিস্থিতি না বদলালে এই প্রতিযোগিতা ভারত থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। ফিফা বিবৃতিতে বলেছে, ‘নির্বাসনের অর্থ হল, ভারত অক্টোবরে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করতে পারবে না। এই প্রতিযোগিতা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে ফিফা চিন্তা-ভাবনা করছে।’
শেষে ফিফা লিখেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের সঙ্গে তারা সমানে যোগাযোগ রাখছে। তারা আশা করছে, এখনও ইতিবাচক সমাধান সম্ভব।
মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ফেডারেশনের সভাপতি পদে বসেছিলেন প্রফুল্ল পটেল। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই বছরের মে মাসে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটিকে ভেঙে দেয়। ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব তিন সদস্যের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সকে দেয়। একই সঙ্গে বলা হয়, যত দ্রুত সম্ভব ফেডারেশনের নির্বাচন করতে হবে।
এর মধ্যে সিওএ আদালতে অভিযোগ করে, পটেল এখনও ফেডারেশনের কাজকর্মে পিছন থেকে হস্তক্ষেপ করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে সিওএ। তখনই আদালতে জানানো হয়, ছোটদের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করার কথা ভারতের। তার জন্য হাতে মাত্র দু’মাস সময় আছে। ফিফাও পরিষ্কার করে সিওএ-কে জানিয়ে দেয়, গণতান্ত্রিক ভাবে ফেডারেশনের নির্বাচন হলে তবেই ভারতকে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে দেওয়া সম্ভব হবে।
গোটা বিষয়টি এখনও সুপ্রিম কোর্টর বিচারাধীন। ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত কী রায় দেয়, তার উপর অনেকটাই নির্ভর করছে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ।