নজির: হালান্ডকে ‘গার্ড অব অনার’ সতীর্থদের। ছবি: ম্যান সিটি টুইটার।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নতুন নজির গড়লেন দুরন্ত ছন্দে থাকা আর্লিং হালান্ড। ৩৫তম গোল করে ইপিএলে এক মরসুমে সব চেয়ে বেশি গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করলেন। ছাপিয়ে গেলেন যুগ্মভাবে শীর্ষে থাকা অ্যান্ডি কোল এবং অ্যালান শিয়ারারকে।
ওয়েস্ট হ্যামের বিরুদ্ধে নতুন কীর্তি গড়ে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির নায়ক বলেছেন, ‘‘এই রাত আমার কাছে অবিস্মরণীয়। আমি খুশি, গর্বিতও।’’ যোগ করেন, ‘‘এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমি বেশি খুশি দল জেতায়।’’ এমনিতে ওয়েস্ট হ্যামকে ৩-০ হারিয়ে লিগ জয়ের দৌড়ে ভাল ভাবেই থাকল সিটি। ফের শীর্ষেও উঠল। এখনও পাঁচটি ম্যাচ বাকি রয়েছে সিটির। এবং হালান্ড আরও গোল করে নতুন নজিরকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যেতে পারেন।
নজির গড়ার জন্য ম্যান সিটির পুরো দল তাঁকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়। সেখানে ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিওলাও ছিলেন। ‘‘এমন জিনিস আগে দেখিনি। সকলে যখন পিঠে চাপড় মেরে অভিনন্দন জানাচ্ছিল, একটু ব্যথা হচ্ছিল ঠিকই কিন্তু এটা বিশেষ ধরনের অনুভূতি,’’ সতীর্থদের সম্মান জানানো নিয়ে বলেছেন হালান্ড। ১৯৯৩-’৯৪ মরসুমে কোল ৩৫টি গোল করেন নিউক্যাসলের হয়ে। পরের বছরেই সমসংখ্যাক গোল করে নজির স্পর্শ করেন ব্ল্যাকবার্নের শিয়ারার। শিয়ারার খেলেছিলেন ৪২ ম্যাচ, কোল ৪০। হালান্ড সেখানে মরসুমের মাত্র ৩১তম ম্যাচেই তাঁদের টপকে গেলেন।
হালান্ডকে নিয়ে যথারীতি উচ্ছ্বসিত ফুটবল মহল। গুয়ার্দিওলার মন্তব্য, ‘‘অবিশ্বাস্য! মাত্র ২২ বছর বয়স ওর। এখনও পাঁচটি ম্যাচ বাকি। কত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার পরে ওকে তুলে নিয়েছি। না হলে আরও কত গোল করত কে জানে! কিন্তু আমি ঝুঁকি নিতে চাইনি। যদি বেশিক্ষণ খেলতে গিয়ে চোট পেয়ে যায়।’’ যোগ করেন, ‘‘আমরা আশাই করেছিলাম ও গোল করবে। তবে কোল বা শিয়ারারের রেকর্ড ভাঙবে, এতটা কি কেউ ভেবেছিলাম? আমার মনে হয়, ও নিজে সব চেয়ে বেশি করে এখন চায়, ইপিএল জিততে।’’ সিটি কোচ, যাঁকে অনেকেই বিশ্বের সেরা বলে মনে করেন, তিনি প্রশংসা করেই চলেন, ‘‘গার্ড অব অনারটা ওর প্রাপ্য। প্রাপ্য এই রেকর্ডও। দুর্দান্ত কীর্তি। কোনও দিন হয়তো ও নিজেই আবার এই কীর্তি ভেঙে দেবে।’’ টুইটারে শিয়ারার লিখেছেন, ‘‘আমার রেকর্ড নেওয়ার জন্য ওর চেয়ে যোগ্য কেউ হয় না। ও-ই সেরা। শুধু রেকর্ডটা ভাঙতে লেগে গেল ২৮ বছর!’’
এ দিকে, ইপিএলে বুধবার জিতেছে লিভারপুলও। য়ুর্গেন ক্লপের দল ফুলহ্যামকে অবশ্য নামমাত্র গোলে হারিয়েছে। যা ৩৯ মিনিটে করেন মহম্মদ সালাহ। অবশ্য এই গোলটা পেনাল্টি থেকে হয়েছে।