মঙ্গলবারের ম্যাচ দেখার জন্য উপস্থিত ছিলেন অ্যালেক্স ফার্গুসন। দীর্ঘ দিন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তাঁর সামনে হেরে রাংনিক বলেন, “এটা লজ্জার, এটা হতাশার, এটা অপমানের। প্রথমার্ধে আমরা লিভারপুলের ধারে কাছে পৌঁছতে পারিনি। ওরা দেখিয়ে দিল কী ক্ষমতা রয়েছে ওদের। পয়েন্ট পাওয়ার মতো ভাল খেলতে পারিনি আমরা।”
দলে একাধিক বদলের ইঙ্গিত ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কোচের। ছবি: রয়টার্স
লিভারপুলের বিরুদ্ধে ০-৪ ব্যবধানে হার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের। মঙ্গলবার রাতের সেই হার খুব লজ্জার বলে মনে করছেন ম্যাঞ্চেস্টারের কোচ রাল্ফ রাংনিক। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে লিভারপুল।
লিভারপুলকে হারিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে আসার সুযোগ ছিল ম্যাঞ্চেস্টারের সামনে। কিন্তু লিভারপুলের ঘরের মাঠে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ছাড়া খেলতে নেমে ০-৪ ব্যবধানে হারতে হল তাদের। জন্মের সময় রোনাল্ডোর সন্তান মারা যায় সোমবার। সেই কারণে মঙ্গলবারের ম্যাচে ছিলেন না তিনি। রোনাল্ডোর সতীর্থ এবং লিভারপুলের ফুটবলাররা হাতে কালো ব্যান্ড পরে খেলতে নেমেছিলেন। পাঁচ মিনিটের মাথায় লুইস দিয়াজের গোলে পিছিয়ে যায় ম্যাঞ্চেস্টার। ২২ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ান মহম্মদ সালাহ। তাঁকে পাস বাড়িয়েছিলেন সাদিয়ো মানে। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৮ মিনিটের মাথায় নিজেই গোল করেন তিনি। ৮৫ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান সালাহ। গোটা ম্যাচেই ছিল লিভারপুলের দাপট।
মঙ্গলবারের ম্যাচ দেখার জন্য উপস্থিত ছিলেন অ্যালেক্স ফার্গুসন। দীর্ঘ দিন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তাঁর সামনে হেরে রাংনিক বলেন, “এটা লজ্জার, এটা হতাশার, এটা অপমানের। প্রথমার্ধে আমরা লিভারপুলের ধারে কাছে পৌঁছতে পারিনি। ওরা দেখিয়ে দিল কী ক্ষমতা রয়েছে ওদের। পয়েন্ট পাওয়ার মতো ভাল খেলতে পারিনি আমরা।”
রাংনিক বলেন, “আমরা ওদের থেকে ছয় বছর পিছিয়ে রয়েছি। য়ুর্গেন ক্লপ আসার পর ওরা ক্লাবের সবটাই পাল্টে ফেলেছে। দলটা অনেক উন্নতি করেছে। পরের দলবদলের মরসুমে আমাদের সেটাই করতে হবে। নতুন করে দল তৈরি করতে হবে। প্রথম ৩-৪ সপ্তাহেই আমার সেটা মনে হয়েছিল। আমাদের কাছে এটা খুব লজ্জার যে এখানে এসে এই ভাবে সাংবাদিক বৈঠক করতে হচ্ছে। আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে ওরা আমাদের থেকে ভাল দল।”
দলবদলের বিষয়টি স্পষ্ট করে রাংনিক বলেন, “পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে বোঝা খুব কঠিন নয়। এটা পরিষ্কার যে পরের বার ছয়, সাত, আট এমনকি ১০ জন নতুন ফুটবলার নেওয়া হতে পারে। সেই ফুটবলারদের নেওয়ার আগে ভেবে নিতে হবে আমরা কী ভাবে খেলতে চাই।”