ইউরোপা লিগ ফাইনালে রোমা ফুটবলাররা বার বার ঘিরে ধরেন রেফারি টেলরকে। ছবি: রয়টার্স
ইউরোপা লিগের ফাইনাল খেলিয়ে দেশে ফেরার পথে বিমানবন্দরে আক্রান্ত হলেন রেফারি। ফাইনালে পরাজিত রোমার সমর্থকরা চড়াও হলেন ইংল্যান্ডের রেফারি অ্যান্থনি টেলর এবং তাঁর পরিবারের উপর। রেফারিকে নিগ্রহের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
ইউরোপা লিগের ফাইনালে প্রিয় দলের হারের জন্য রোমা সমর্থকরা দায়ী করছেন ইংরেজ রেফারিকেই। কোচ হোসে মোরিনহোও দুষেছেন টেলরকে। উত্তেজনার আঁচ শুধু স্টেডিয়ামেই সীমাবদ্ধ থাকল না। সেই আঁচ এসে পড়ল বুদাপেস্ট বিমানবন্দরেও। অভিযোগ, কয়েক জন রোমা সমর্থক ইংল্যান্ডের রেফারিকে সামনে পেয়ে হেনস্থা করেছেন। অশ্রাব্য গালাগালিও করা হয়েছে তাঁকে। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে ক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি বিমানবন্দরের চেয়ার ছুড়েও টেলর এবং তাঁর স্ত্রীকে আঘাত করার চেষ্টা করছেন।
গত বুধবার ইউরোপা লিগের ফাইনালে রোমা টাইব্রেকারে হেরে গিয়েছে সেভিয়ার কাছে। ফাইনালে হেরে ক্ষুব্ধ মোরিনহো নিজের রুপোর পদক দিয়ে দেন এক সমর্থককে। রেফারিকে প্রকাশ্যে হুমকিও দিয়েছিলেন মোরিনহো। ম্যাচের পর ইংরেজ রেফারি টেলরের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন রোমা কোচ। গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় তিনি রেফারিকে গালিগালাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ। মোরিনহোর দাবি, ফাইনালে প্রচুর হলুদ কার্ড দেখিয়ে খেলার ছন্দই নষ্ট করে দিয়েছিলেন টেলর। মোরিনহো বলেছিলেন, “দারুণ রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচ হচ্ছিল। কিন্তু রেফারি খালি হলুদ, হলুদ আর হলুদ কার্ড দেখিয়ে গেলেন। ইংরেজ হয়েও স্প্যানিশের মতো আচরণ।”
সেই ম্যাচের পর থেকে ইংরেজ রেফারির উপর ক্ষোভে ফুঁসছিলেন রোমা সমর্থকরাও। তাই অশান্তির আশঙ্কা ছিলই। দেশে ফেরার সময় টেলর এবং তাঁর পরিবারের জন্য বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাতেও ঠেকানো যায়নি সমর্থকদের। টলরকে দেখে তাড়া করেন তাঁরা। অল্প ধাক্কাধাক্কি হলেও টেলর এবং তাঁর স্ত্রীকে নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত বিমানবন্দরের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যান। বুদাপেস্ট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।