আনোয়ার আলি। —ফাইল চিত্র।
আনোয়ার আলিকে চার মাসের জন্য নির্বাসিত করেছে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি। দলের ফুটবলারকে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলল ইস্টবেঙ্গল। অ্যাপিল কমিটিতে আবেদন করবে লাল-হলুদ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “আনোয়ারকে পাঁচ বছরের জন্য সই করিয়েছি। ও তো আর অন্য কোথাও যাচ্ছে না।” সেই সঙ্গে ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার জরিমানার বিষয়টি নিয়েও চিন্তায় ইস্টবেঙ্গল। দেবব্রত বলেন, “জরিমানার বিষয়টা নিয়ে আলোচনা চলছে। আমি যত দূর জানি, প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি জরিমানার পরিমান ঠিক করতে পারে না। সেটা করে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়েছি। আমরা অ্যাপিল কমিটিতে আবেদন করব।”
দিল্লি এফসি থেকে লোনে মোহনবাগানের হয়ে খেলতে এসেছিলেন আনোয়ার। কিন্তু এই বছর সবুজ-মেরুন ছেড়ে লাল-হলুদে পাঁচ বছরের জন্য সই করেন তিনি। মোহনবাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটি মনে করছে এটা নিয়ম-বহির্ভূত। ফলে চার মাসের জন্য নির্বাসিত আনোয়ার আইএসএলের শুরুর পর্বে খেলতে পারবেন না। যদিও চাইলে আনোয়ার তাঁর শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করে ফিফার কাছে যেতে পারেন।
চলতি মরসুম শুরুর আগে থেকেই আনোয়ারের দলবদল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। মোহনবাগানের সঙ্গে লোন চুক্তি বাতিল করে আনোয়ার দিল্লি এফসিতে ফিরে গিয়ে পরে ইস্টবেঙ্গলে সই করেন। এই বিষয়ে অভিযোগ করেছিল মোহনবাগান। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা ও প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল আনোয়ার ও মোহনবাগানের। সেই বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানানো হয়েছিল, পঞ্জাবের ফুটবলার যে প্রক্রিয়ায় মোহনবাগানের সঙ্গে লোন চুক্তি ভেঙেছেন, তা অনৈতিক। এ বার শাস্তি দেওয়া হয়েছে আনোয়ারকে।
ভারতীয় ডিফেন্ডারের পাশাপাশি শাস্তি হয়েছে ইস্টবেঙ্গলেরও। আগামী দু’টি ট্রান্সফার উইন্ডোয় কোনও ফুটবলার সই করাতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি। ইস্টবেঙ্গল এবং আনোয়ারকে মিলিত ভাবে ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই টাকা পাবে মোহনবাগান। এই জরিমানার বিরুদ্ধেই আবেদন করবে ইস্টবেঙ্গল।