সুপার কাপ হাতে মুখ্যমন্ত্রী। বাঁ দিকে ইস্টবেঙ্গলের কর্তা দেবব্রত সরকার। ছবি: সংগৃহীত।
কলিঙ্গ সুপার কাপ জয়ের পর দিনই ইস্টবেঙ্গলের কর্তা দেবব্রত সরকারকে ফোন করে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ট্রফি জয়ের চার দিন পর, বৃহস্পতিবার ট্রফি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে দেখা করে এলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা। সেই ট্রফি দেখলেন মমতা। ইস্টবেঙ্গলের তরফে ফুলের তোড়া এবং মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মমতা ইস্টবেঙ্গলকে শুভকামনা জানিয়েছেন এবং চলতি মরসুমে আরও ভাল খেলার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
কলিঙ্গ সুপার কাপ জেতার সুবাদে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপ জয়ী দলকে এই সুযোগ দেওয়া হয়। ইস্টবেঙ্গলের এই সাফল্যে খুশি হয়েছিলেন মমতা। তিনি গত সোমবার সকালে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন দেবব্রতকে। কোচ, ফুটবলার, কর্তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন আগামী দিনের জন্য। সেই সময়ে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মমতা। রবিবার সেখানেই পেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের সাফল্যের খবর।
কলকাতা ময়দানের খবর নিয়মিত রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তিন বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডানের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার অর্থসাহায্যও করেছে। ইস্টবেঙ্গলের পাশে সব সময় থেকেছেন তিনি। আইএসএল খেলার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্পনসরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। লাল-হলুদের প্রথম বিনিয়োগকারী সংস্থা সরে দাঁড়ানোর পর আর্থিক সঙ্কটে থাকা ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বিনিয়োগকারীর। সেই বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের মিল না হওয়ায় তারা সরে যায়। তার পর আবার শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের জন্য বিনিয়োগকারীর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মমতা।
সেই তৃতীয় বিনিয়োগকারীর হাত ধরেই এ বার তুলনায় ভাল দল তৈরি করতে পেরেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে হারলেও কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে সদস্য-সমর্থকদের হতাশ করেননি লাল-হলুদ ফুটবলারেরা। ক্লাবকে সাফল্যের পথে ফিরিয়েছেন ক্লেটন সিলভারা। সাফল্য এসেছে কলকাতা ডার্বিতেও। দীর্ঘ দিন পর চেনা মেজাজে দেখা যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। ক্লাবের এই সাফল্যের পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর অবদান কম নয়।