কার্লেস কুয়াদ্রাত। —ফাইল চিত্র।
এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়ে শহর ছেড়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু গোয়া থেকে ১ পয়েন্ট নিয়েও ফিরতে পারছে না কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। বুধবার আইএসএলের লড়াইয়ে গোয়ার কাছে ০-১ গোলে হেরে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড। আগামী রবিবার কলকাতা ডার্বির আগে চাপ বৃদ্ধি হল ইস্টবেঙ্গলের উপর।
পরিকল্পনাহীন, ছন্নছাড়া ফুটবল। রক্ষণের সঙ্গে মাঝ মাঠ এবং মাঝ মাঠের সঙ্গে আক্রমণের অভাব। অসংখ্য ভুল পাস। আইএসএলের লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গলকে আরও পিছিয়ে দিল। তবু গোয়ার বিরুদ্ধে গোল করার কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিলেন লাল-হলুদ ফুটবলারেরা। কাজে লাগাতে পারলেন না। ফলাফল এ বারের আইএসএলে নবম হারের স্বাদ পেল ইস্টবেঙ্গল। পাঁচ ম্যাচ পর আবার জয়ে ফিরল গোয়া।
ম্যাচের প্রথম থেকেই দাপট ছিল গোয়ার ফুটবলারদের। তবু গোল পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হল ৪২ মিনিট পর্যন্ত। ম্যাচের ৬ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গল বক্সকে বিপন্মুক্ত করেন হিজাজি মাহের। গোলের একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে প্রথমার্ধেই অন্তত ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারত গোয়া। ৪২ মিনিটে গোয়ার হয়ে ম্যাচের এক মাত্র গোলটি করেন নোহা। তিনিই ১২ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। ম্যাচের সহজতম সুযোগ নষ্ট হলেও হাল ছাড়েনি গোয়ার ফুটবলারেরা। তিনি একাই প্রথম অর্ধে তিনটি সুযোগ নষ্ট করেন। তবে ৪২ মিনিটের মাথায় ইয়াসিরের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি তিনি। ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে ব্যস্ত রেখেছিলেন কার্লোস মার্তিনেজ়ও।
০-১ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করলেও ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে কখনই মনে হয়নি, ম্যাচ জিততে পারে তারা। ক্লেটন সিলভা, মহেশ সিংহরা চেষ্টা করলেও ইস্টবেঙ্গলের দলগত বোঝাপড়ার অভাব বার বার চোখে পড়েছে। অন্য দিকে, ৮৩ মিনিটে উদান্ত সিংহের শট পোস্টে না লাগলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেত গোয়া। এ দিনের হার আইএসএলে প্রথম ছয় দলের মধ্যে থাকার কুয়াদ্রাতের স্বপ্ন আরও কঠিন করবে। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ মোহনবাগান ম্যাচের আগে গোয়ার কাছে হার মানসিক ভাবে পিছিয়ে রাখবে ক্লেটনদের।
বুধবারের ম্যাচের পর ১৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় নবম স্থানেই থেকে গেল ইস্টবেঙ্গল। ১৭ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে থাকল গোয়া।