— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কলকাতা লিগের বহু প্রতীক্ষিত ডার্বিতে না খেলেই জিতে গেল ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল উপস্থিত থাকলেও এল না মোহনবাগান। ম্যাচ রেফারি এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ইস্টবেঙ্গলকে ওয়াকওভার দিয়ে দেন। ফলে না খেলেই তিন পয়েন্ট পেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। অন্য দিকে, শাস্তির মুখে মোহনবাগান।
বৃহস্পতিবার ম্যাচের প্রায় দু’ঘণ্টা আগেই ইস্টবেঙ্গলের টিম বাস ফুটবলারদের নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল নৈহাটি স্টেডিয়াম। কিছু ক্ষণ পরে লাল-হলুদ ফুটবলারেরা মাঠে নেমে ওয়ার্ম-আপ করতে থাকেন। কিন্তু মোহনবাগানের কোথাও দেখা মিলছিল না। ম্যাচ রেফারি জানান, এক ঘণ্টা অপেক্ষা করা হবে। তার মধ্যেও মোহনবাগানের ফুটবলারেরা মাঠে হাজির না হলে ইস্টবেঙ্গলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। সেটাই হয়। দুপুর ২টো থেকে ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ৩টে বেজে গেলেও দেখা যায়নি মোহনবাগান দল বা তাদের কোনও কর্তাকে।
কলকাতা ডার্বি দু’দলের সমর্থকের কাছেই আবেগ। ডুরান্ড কাপে দু’টি ডার্বিতে সমর্থকদের উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল। আইএসএল ডার্বি বাতিল হওয়ায় আগ্রহ ছিল কলকাতা লিগের ডার্বি ঘিরেও। সে যতই মহমেডান আগেই লিগ জিতে যাক বা দু’দলের রিজ়ার্ভ ফুটবলারেরা খেলুন, ডার্বি মানেই অন্য আবেগ। কিন্তু সেই ম্যাচই পুরোপুরি নিষ্প্রাণ হয়ে গেল।
ডার্বি হবে না জেনেই আগ্রহ ছিল না সমর্থকদের মধ্যে। ম্যাচের সময় হয়ে গেলেও নৈহাটি স্টেডিয়াম পুরোপুরি ফাঁকা ছিল। কোনও দলের সমর্থকই আসেননি খেলা দেখতে। ফলে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারেরা জয়ের উচ্ছ্বাস সমর্থকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেননি। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, “নিয়মমতোই ইস্টবেঙ্গল ওয়াকওভার পেয়েছে। তিন পয়েন্টও ওদের। মোহনবাগানকে কোনও শাস্তি দেওয়া হবে কি না এটা আইএফএ-র কমিটি ঠিক করবে।”
ডার্বি যে হবে না এটা বোঝা গিয়েছিল গত কয়েক দিনের ঘটনাক্রমে। চিঠি, পাল্টা চিঠিতে অনেক বিষয় উঠে আসে। হঠাৎ করে আইএফএ বৃহস্পতিবার কলকাতা লিগে ডার্বির মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দেওয়ায় গত সোমবার আইএফএ-কে চিঠি লিখে মোহনবাগান ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু আইএফএ-র তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ম্যাচ বৃহস্পতিবারই হবে। এরপর মোহনবাগানের তরফে আরও একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল, আইএফএ এবং ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে বৈঠক করে ম্যাচটি যাতে আরও পরের দিকে দেওয়া যায়। একই সঙ্গে নৈহাটির বদলে যুবভারতীতে ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
বুধবার আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানিয়েছিলেন, ম্যাচ বৃহস্পতিবারই হবে। নৈহাটি স্টেডিয়ামে পুলিশি নিরাপত্তা-সহ সব সরকারি অনুমোদন নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই আর দিন বা মাঠ পরিবর্তন সম্ভব নয়। মোহনবাগানের চিঠি পাওয়ার পর বৃহস্পতিবারই যে ম্যাচ হবে সেই মর্মে তার উত্তরও দিয়ে দিয়েছিলেন। তাতেও মোহনবাগানকে রাজি করানো গেল না।