আনোয়ার আলি। —ফাইল চিত্র।
আনোয়ার আলি ইস্যুতে জয় পেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। জানা গিয়েছে, ভারতীয় এই ডিফেন্ডারকে চার মাসের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে। শাস্তি হয়েছে ইস্টবেঙ্গলেরও। আগামী দু’টি ট্রান্সফার উইন্ডোয় কোনও ফুটবলার সই করাতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি। ইস্টবেঙ্গল এবং আনোয়ারকে মিলিত ভাবে ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই টাকা পাবে মোহনবাগান।
দিল্লি এফসি থেকে লোনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন আনোয়ার। কিন্তু এই বছর সবুজ-মেরুন ছেড়ে লাল-হলুদে পাঁচ বছরের জন্য সই করেন তিনি। মোহনবাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটি মনে করছে এটা নিয়ম-বহির্ভূত। ফলে চার মাসের জন্য নির্বাসিত আনোয়ার আইএসএলের শুরুর পর্বে খেলতে পারবেন না। তবে চাইলে আনোয়ার তাঁর শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করে ফিফার কাছে যেতে পারেন।
চলতি মরসুম শুরুর আগে থেকেই আনোয়ারের দলবদল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। মোহনবাগানের সঙ্গে লোন চুক্তি বাতিল করে আনোয়ার দিল্লি এফসিতে ফিরে গিয়ে পরে ইস্টবেঙ্গলে সই করেন। এই বিষয়ে অভিযোগ করেছিল মোহনবাগান। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা ও প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল আনোয়ার ও মোহনবাগানের। সেই বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানানো হয়েছিল, পঞ্জাবের ফুটবলার যে প্রক্রিয়ায় মোহনবাগানের সঙ্গে লোন চুক্তি ভেঙেছেন, তা অনৈতিক।
২৪ বছরের আনোয়ারের জন্ম পঞ্জাবে। এই ভারতীয় ডিফেন্ডার তাঁর ফুটবলজীবন শুরু করেছিলেন মিনার্ভা পঞ্জাবের হয়ে। তবে সেই দলের হয়ে খেলেননি তিনি। ২০১৭ সালে মিনার্ভা থেকে লোনে ইন্ডিয়ান অ্যারোজে চলে যান আনোয়ার। এর পর মুম্বই সিটিতে গেলেও ম্যাচ খেলা হয়নি। সেই দলে থেকেও লোনে ইন্ডিয়ান অ্যারোজে যোগ দেন আনোয়ার। ২০২০ সালে মহমেডানে যোগ দেন তিনি। ভারতের হয়ে ২২টি ম্যাচ খেলা আনোয়ার ২০২১ থেকে দিল্লি এফসি-র ফুটবলার। তবে লোনে তিনি খেলেন গোয়া এবং মোহনবাগানের হয়ে। এই বছর ইস্টবেঙ্গলে সই করেন আনোয়ার। কিন্তু আপাতত চার মাসের জন্য নির্বাসিত ভারতীয় ডিফেন্ডার।