গোলের পর হিজাজি। ছবি: এক্স।
সুপার কাপের দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতল ইস্টবেঙ্গল। রবিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে তারা হারিয়ে দিল শ্রীনিধি ডেকান এফসি-কে। ২-১ গোলে জিতেছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। ১৯ জানুয়ারি ডার্বি। সেই ডার্বিতেই ঠিক হয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল না মোহনবাগান, কোন দল গ্রুপ এ থেকে সেমিফাইনালে উঠবে। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে এ দিন গোলদু’টি করেছেন হিজাজি মাহের এবং জেভিয়ার সিভেরিয়ো। খেলার শেষ পর্বে শ্রীনিধির হয়ে পেনাল্টি থেকে গোল উইলিয়ামের। ম্যাচে বেশ কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে আরও বেশি ব্যবধানে জিততে পারত ইস্টবেঙ্গল।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণ করতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। বল নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের পায়েই। তিন মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে গোলের সুযোগ এলে তা হয়নি। সাত মিনিটের মাথায় একটি সুযোগ নষ্ট করেন জেভিয়ার সিভেরিয়ো। হোসে পারদো একাই শ্রীনিধির রক্ষণ ভেঙে সিভেরিয়োকে পাস দিয়েছিলেন। কিন্তু স্পেনের ফুটবলারের শট গোলের বাইরে যায়।
তবে এগিয়ে যেতে সময় লাগেনি ইস্টবেঙ্গলের। ১১ মিনিটের বক্সের বাঁ দিকে ফ্রিকিক পায় লাল-হলুদ। নিশু কুমারের ভাসানো বলে মাথা ছুইয়ে গোল করেন হিজাজি। সাত মিনিট পরে আবার সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। পারদোর থেকে পাস পেয়ে তা বোরহা হেরেরার উদ্দেশে বাড়িয়েছিলেন নন্দকুমার। কিন্তু বোরহার শট বারের উপর দিয়ে উড়ে যায়।
৩১ মিনিটে দারুণ গোল করেন সিভেরিয়ো। হিজাজি নিজের অর্ধ থেকে লম্বা বল ভাসিয়েছিলেন ক্লেটন সিলভার উদ্দেশে। ক্লেটন হেড করে বল নামিয়ে দেন সিভেরিয়োর পায়ে। বল না ধরেই বক্সের বেশ কিছুটা দূর থেকে বাঁ পায়ে জোরালো শট মারেন সিভেরিয়ো। শ্রীনিধির এক ফুটবলারের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন পরে তা জালে জড়িয়ে যায়।
বিরতির ঠিক আগে শ্রীনিধিও এক বার বল জালে জড়ায়। ডান দিক থেকে কিন লিউইয়ের ক্রসে হেড করে বল জালে জড়ান ডেভিড কাস্তানেদা। কিন্তু রেফারি অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল করে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইস্টবেঙ্গলেরই। তবে শ্রীনিধির খেলায় আগের থেকে ঝাঁজ বাড়ে। অনেক বেশি আক্রমণ করতে শুরু করে তারা। বাঁ দিক থেকে বেশ কয়েক বার আক্রমণে ওঠেন পি ভি বিষ্ণু। ক্লেটন এ দিন গোল না করলেও দলকে দারুণ ভাবে চালনা করেন। বিপক্ষের ফুটবলারদের ব্যস্ত রাখেন। পায়ে বল পেলেই চেষ্টা করতে থাকেন আক্রমণে ওঠার। কিন্তু ব্রাজিলীয় ফুটবলারের পা থেকে গোল দেখতে পাননি সমর্থকেরা।
শেষ দিকে নিজেদের দোষে পেনাল্টি হজম করে ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের অজয় ছেত্রী নিজেদের বক্সেই ফেলে দেন বিয়াকতিয়াকে। পেনাল্টি থেকে গোল পরিবর্ত উইলিয়ামের।