ডার্বির একটি মুহূর্ত। ছবি: এক্স।
দু’বার এগিয়ে গিয়েও ড্র করতে হয়েছে মোহনবাগানের বিপক্ষে। শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে তিন পয়েন্ট হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু যে গোলে সমতা ফিরিয়েছে মোহনবাগান তা নিয়ে একেবারেই খুশি হতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর মতে, আগেই নন্দকুমারকে ফাউল করেছিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। ফলে সেটি পরিষ্কার ফাউল। পাশাপাশি জানালেন, এই ম্যাচ থেকে তাঁরাই তিন পয়েন্টের আসল দাবিদার ছিলেন।
কুয়াদ্রাতের কথায়, “খুব সুন্দর ম্যাচ হয়েছে। ম্যাচে অনেক আবেগ দেখা গিয়েছে। দু’দলই লড়াই করেছে। এক সেকেন্ডের জন্যও কোনও দল হাল ছেড়ে দেয়নি। সেই সময় (পেত্রাতোসের গোলের সময়) কী হয়েছিল সেটা সবাই দেখেছেন। আমার খেলোয়াড়ের পায়ে বল ছিল। যে ভাবে ওকে ধাক্কা মারা হয়েছে, নিজেদের পেনাল্টি বক্সে সেটা সব সময়েই ফাউল হয়। সবাই সেটা দেখেছে। আলাদা করে কিছু বলার নেই।”
ইস্টবেঙ্গলের খেলা নিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, “আমাদের কাছে গোলের কয়েকটা পরিষ্কার সুযোগ এসেছিল। আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। নন্দকুমারের সুযোগটা গোল করা উচিত ছিল। আমরাই তিন পয়েন্ট পাওয়ার যোগ্য ছিলাম।” তাঁর সংযোজন, “খুব সুন্দর ফুটবল খেলেছে আমাদের ছেলেরা। যা পরিকল্পনা করেছিলাম সেটাই হয়েছে। আজ মোহনবাগান খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। এতেই বোঝা যায় আমাদের দলের সাফল্য। আমরা অনেক পরিষ্কার সুযোগ পেয়েছিলাম। গত কয়েকটা ম্যাচেও পেয়েছি।”
চোট পেয়ে শেষের দিকে উঠে যেতে হয় নাওরেম মহেশকে। গোটা ম্যাচেই তাঁকে অনেক বার বিপক্ষের ফাউলের শিকার হতে হয়েছে। সেই নিয়ে কুয়াদ্রাত বলেছেন, “শুনেছি মহেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওকে সাজঘরে দেখিনি। জানি না এখন কী অবস্থায় রয়েছে।”
সব মিলিয়ে দলের পারফরম্যান্সে খুশি কুয়াদ্রাত। বলেছেন, “আমরা তিন পয়েন্টের জন্যই খেলছিলাম। প্রথম থেকেই গোল করার চেষ্টা করছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত সাউল চোট পেয়ে গেল। একটা বিদেশিকে হারালে তার প্রভাব ম্যাচে পড়েই। কিন্তু বাকি ফুটবলারেরা দারুণ খেলেছে। আমরা ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করেছি অনেকটা সময়।”