কার্লেস কুয়াদ্রাত। —ফাইল চিত্র।
শনিবার আইএসএলের প্রথম ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের। প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি। নির্বাসিত হওয়ায় খেলতে পারবেন না আনোয়ার আলি। তিনি না থাকায় কি সমস্যা হবে দলের রক্ষণে? জবাব দিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।
সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে খেলতে যাওয়ার আগে বৃহস্পতিবার একটি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করে ইস্টবেঙ্গল। কোচ কুয়াদ্রাত ছাড়া সেখানে ছিলেন দলের বিদেশি ডিফেন্ডার হিজাজে মাহের। সেখানেই আনোয়ারকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জবাবে কুয়াদ্রাত বলেন, “আনোয়ার দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। কিন্তু সব কিছু তো আমাদের হাতে থাকে না। ক্লাব নিজের মতো করে বিষয়টা দেখছে। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়। তবে দলে আরও অনেক ভাল ফুটবলার রয়েছে। ওদের নিয়ে পরিকল্পনা করব। আশা করছি আনোয়ারের অভাব মেটাতে পারবে ওরা।” বৃহস্পতিবার অনুশীলনে হালকা চোট পেয়েছেন নন্দকুমার। যদিও কুয়াদ্রাত জানিয়েছেন, নন্দকে নিয়ে সমস্যা নেই। তিনি মাঠে নামতে তৈরি।
এখনও পর্যন্ত আইএসএলের নক আউটে উঠতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এ বার সেটাই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ। কুয়াদ্রাত বলেন, “আমরা চেষ্টা করব প্রথম ছয় দলের মধ্যে শেষ করার। তবেই লিগ জেতার সুযোগ থাকবে। নক আউটে উঠলে তার পরে বুঝতে পারব কার বিরুদ্ধে খেলতে হবে। তাই এখন থেকে সে সব নিয়ে ভাবছি না। আমাদের লক্ষ্য প্রথম ছয়ে শেষ করা।”
ডুরান্ডের নক আউটে শিলং লাজংয়ের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। মরসুমের শুরুটা ভাল হয়নি। সেটা নিয়ে বিশেষ চিন্তা করছেন না কুয়াদ্রাত। দলের উপর ভরসা আছে তাঁর। লাল-হলুদ কোচ বলেন, “ইস্টবেঙ্গলে খেলা গর্বের। হিজাজে অন্য ক্লাবে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিল। কিন্তু ও ইস্টবেঙ্গলেই থাকবে বলে ঠিক করেছে। সামনের দুটো উইন্ডো বন্ধ। সেটা আমাদের হাতে নেই। দলে এ বার অনেক নতুন ফুটবলার এসেছে। ওদের মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগছে। ডুরান্ডে শিলংয়ের বিরুদ্ধে ছ’জন নতুন ফুটবলার খেলেছে। ওখানে জিততে পারিনি। ধীরে ধীরে সকলে মানিয়ে নিয়েছে। আশা করছি আইএসএলে সেই সমস্যা হবে না। দল একজোট হয়ে খেলবে।”
ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার হিজাজিও তৈরি মাঠে নামতে। প্রতিপক্ষে সুনীল ছেত্রী বা পেরেরা দিয়াজের মতো বড় নাম থাকলেও চিন্তা নেই তাঁর। হিজাজি বলেন, “বেঙ্গালুরু বড় দল। কিন্তু প্রতিপক্ষের কথা বেশি না ভেবে নিজেদের কথা ভাবছি। আমরাও এ বার ভাল দল। তিন পয়েন্ট ছাড়া কিছু ভাবছি না। সুনীল, পেরেরাদের আটকাতে আমরা তৈরি।”