ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ছবি: সংগৃহীত।
যে সব ফুটবলার চেয়েছেন তাদেরই পেয়েছেন। মরসুম শুরুর আগে মাস খানেক প্রাক মরসুম প্রস্তুতির সুযোগও পেয়েছেন। তার পরেও আইএসএলের শুরুতে টানা দু’টি ম্যাচ হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও হার মানতে পারছেন না সমর্থকেরা। তাঁরা দোষ দিচ্ছেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকেই। কেরল ম্যাচের পর কুয়াদ্রাত যুক্তি দিয়েছেন যে ফুটবলারদের বোঝাপড়ার অভাবের কারণেই হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে।
ইস্টবেঙ্গলের কোচ জানিয়েছেন, দলের বোঝাপড়া এখনও নিখুঁত হয়ে ওঠেনি বলেই এমন হচ্ছে। কুয়াদ্রাতের বিশ্বাস, লিগ যত এগোবে তত দলের ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও ভাল হবে এবং উন্নতি করবে।
হারের পর কুয়াদ্রাত বলেন, “এ বারের আইএসএলে প্রায় রোজই এ রকম হচ্ছে। বেশির ভাগ ম্যাচেই ৮৫ মিনিটের পরে ফয়সালা হয়েছে। সেটা আমাদের ক্ষেত্রেও হল এবং ফলাফল আমাদের বিরুদ্ধে গেল। দ্বিতীয় গোল করার সুযোগই তৈরি করতে পারিনি আমরা। এই ম্যাচে আমরা বুঝে নিলাম কোন কোন জায়গায় আমাদের ভুল হচ্ছে। সেই ভুলগুলো শোধরাতে হবে। আরও খাটতে হবে।”
বোঝাপড়ার অভাব যে রয়েছে সেটা ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের দেখেই বোঝা গিয়েছে। হিজাজি মাহেরের এত খারাপ অবস্থা যে তাঁকে দ্বিতীয় ম্যাচেই বসিয়ে দিতে হয়েছে। আনোয়ার আলি কেরল ম্যাচে পায়ের ফাঁক দিয়ে গোল খেয়েছেন। মাধি তালাল বা দিমিত্রি দিয়ামানতাকোসের ফর্ম আগের মরসুমের ধারেকাছেও নেই।
তবু লাল-হলুদ কোচের মতে কেরল ম্যাচে ভাল ফুটবল খেলেছে তাঁর দল। সেটা সারা ম্যাচে ধরে রাখতে পারলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যেত বলে মনে করেন তিনি। কুয়াদ্রাত বলেন, “এখনও আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। ফুটবলে মুহূর্তের মধ্যে খেলা ঘুরে যেতে পারে। আমাদের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। গোল করে যে সুবিধা আমরা পেয়েছিলাম তা ধরে রাখতে পারিনি। আমাদের এই ভাল ফুটবল খেলাটা ধরে রাখতে হবে। আনোয়ার আজই প্রথম খেলল। হেক্টরের দ্বিতীয় ম্যাচ। ওদের সময় দিতে হবে।”
দলের নতুন ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব সম্পর্কে কুয়াদ্রাত বলেন, “আজ ছ’জন নতুন ফুটবলারকে প্রথম দলে রেখেছিলাম। মরসুমের শুরুতে তাদের মধ্যে যে বোঝাপড়ার সমস্যা হচ্ছে তা বুঝতে পারছি। আমার সময় লাগবে। সেই সময়টা দিতে হবে। এই নিয়ে এত হা-হুতাশ করার কিছু নেই। কেরল সমতা ফেরানোর আগে পর্যন্ত ছেলেরা খারাপ খেলেনি। তবে ওরা গোলের পরে যে চাপটা বাড়ায় তা সামলাতে পারেনি আমাদের ফুটবলাররা।”
গোলের প্রচুর সুযোগ পেয়েও তা বারবার হাতছাড়া হওয়া প্রসঙ্গে কুয়াদ্রাত বলেন, “এই নিয়ে অনেক কাজ করেছি আমরা। এই সমস্যা গত ম্যাচেও হয়েছে। এটা মেটাতে গেলে ফুটবলারদের সঠিক মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমাদের ছেলেরা সব সময় সেটা পারছে না। এই ব্যাপারটা ওদের আরও ভাল ভাবে বোঝাতে হবে। তরুণ ফুটবলাররা গোলের সামনে গিয়ে এতটা উত্তেজিত হয়ে পড়ে যে মাঝে মাঝে ফুটবলের সাধারণ জ্ঞান মনে থাকে না তাদের। ওদের আরও বোঝাতে ও শেখাতে হবে।”