বিনিয়োগকারী নিয়ে কথাবার্তা চালাচ্ছেন লাল-হলুদ কর্তারা। অবশ্যই উদ্যোগী হয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। মোট ১০-১১টি সংস্থার সঙ্গে কথা চলছে ক্লাবের।
কারা হবে লাল-হলুদের নতুন বিনিয়োগকারী? জানতে অপেক্ষা করে রয়েছেন সমর্থকরা। ফাইল চিত্র
কারা হবে ইস্টবেঙ্গলের নতুন স্পনসর বা বিনিয়োগকারী? প্রায় প্রতি দিনই নানা খবর শোনা যাচ্ছে। কিন্তু ঘটনা হল, এখনও কোনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। এখনও কথাবার্তা চালাচ্ছেন লাল-হলুদ কর্তারা। এবং অবশ্যই উদ্যোগী হয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মোট ১০-১১টি সংস্থার সঙ্গে কথা চলছে ক্লাবের।
লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার জানালেনও সে কথা। শোনা যাচ্ছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলছেন সৌরভ। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দেবব্রত আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন ‘‘শুধু ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কেন, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আরও অনেক ক্লাবের সঙ্গেই আমাদের অনেক আগে থেকেই কথা হয়েছে। স্প্যানিশ লিগের কিছু ক্লাবের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছিলাম। বহু জায়গায় আমরা ছিপ ফেলে রেখেছি। এখনও কারও থেকে কোনও ইতিবাচক জবাব পাইনি। এখন সৌরভ যদি ওঁর উদ্যোগে ম্যাঞ্চেস্টার বা অন্য কোনও ক্লাবের সঙ্গে কথা বলেন, সে তো ভাল ব্যাপার। তবে এ ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না।’’
শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পরে আনন্দবাজার অনলাইন জানিয়েছিল, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছেন। এর মধ্যে দু’-তিনটি সিমেন্ট প্রস্তুতকারী সংস্থাও আছে। এখন ক্লাবের পক্ষ থেকে কাদের সঙ্গে কথা চলছে জানতে চাইলে দেবব্রত বললেন, ‘‘এখনই আমরা নামগুলি প্রকাশ্যে আনতে চাইছি না। কারণ, তা হলে যাদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে, তাদের আপত্তি বা সমস্যা থাকতে পারে। এটুকু বলতে পারি, মোট ১০-১১টি সংস্থার সঙ্গে আমাদের কথা চলছে।’’
ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে শ্রী সিমেন্টের সম্পর্ক যে ছিন্ন হচ্ছে, তা আনন্দবাজার অনলাইন সবার আগে জানিয়েছিল ২১ ফেব্রুয়ারি। গত ১২ এপ্রিল সরকারি ভাবে ইস্টবেঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে শ্রী সিমেন্ট। তার পর থেকে বিনিয়োগকারী খুঁজছেন লাল-হলুদ কর্তারা। বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গেও কথাবার্তা এগিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ফলপ্রসূপ হয়নি।