গোলের পর সতীর্থের সঙ্গে উল্লাস বিষ্ণুর (ডান দিকে)। ছবি: টুইটার।
ডার্বি জয়ের দু’দিন পর সোমবার কলকাতা লিগে খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচে পুলিশ এসি-কে ২-১ গোলে হারাল তারা। গোল করলেন অভিষেক কুঞ্জম এবং পিভি বিষ্ণু। জয়ের ফলে গ্রুপে শীর্ষ স্থানে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। সুপার সিক্সে তাদের যোগ্যতা অর্জনের দিকে এগিয়ে গেল আরও এক ধাপ।
ডার্বিতে খেলা কোনও ফুটবলারকেই এ দিনের ম্যাচে রাখা হয়নি। শুরু থেকে পুলিশকে চাপে রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। দু’টি ফ্রিকিক পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। তবে ১৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠ থেকে পাস খেলতে খেলতে আক্রমণে উঠে আসেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা। আচমকাই অভিষেকের উদ্দেশে সামনে একটি পাস বাড়িয়ে দেন জেসিন টিকে। সামনে এগিয়ে আসতে থাকা গোলকিপারের পাশ দিয়ে বল জালে জড়ান অভিষেক। প্রতিযোগিতায় ছ’টি গোল হয়ে গেল তাঁর। সুহেল ভাটের (৮) পিছনেই রয়েছেন তিনি।
প্রথমার্ধে বুনন্দ সিংহকে বেশি করে চোখে পড়ছিল। ডান দিক থেকে বার বার আক্রমণে উঠছিলেন তিনি। তাঁর ওভারল্যাপ সামলাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যাচ্ছিলেন বিপক্ষের ফুটবলারেরা। প্রথমার্ধে আর গোল না পেলেও চাপ বজায় রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। বাঁ প্রান্ত দিয়ে তুহিনও বার বার উঠে পড়ছিলেন। ২৮ মিনিটের মাথায় ডান দিকে বুনন্দের একটি ক্রস ভেসে এসেছিল অভিষেকের উদ্দেশে। কিন্তু তিনি হেড করার আগেই বল তালুবন্দি করেন পুলিশের গোলকিপার। প্রথমার্ধের শেষের দিকে কিছু ক্ষণ বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল পুলিশের পায়ে। তবে গোল করতে পারেনি তারা।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরায় পুলিশ। তখনও ইস্টবেঙ্গল নিজেদের রক্ষণ ঠিক মতো গুছিয়ে নিতে পারেনি। বাঁ দিক থেকে আক্রমণে উঠে এসে বল বাড়িয়েছিলেন আশিক খান। সেখান থেকে গোল করেন জগমিত সিংহ। রক্ষণের দুর্বলতায় গোল হজম করে ইস্টবেঙ্গল। গোল পেয়ে তেড়েফুড়ে খেলতে থাকে পুলিশ। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছিল তারা। একাধিক প্রতি আক্রমণ দেখা যায়। ইস্টবেঙ্গলকে তখন কিছুটা হলেও দিশেহারা লাগছিল।
ম্যাচে উত্তেজনাও দেখা যায়। ইস্টবেঙ্গলের তুহিন এবং পুলিশের দয়াল ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি ভাল না হওয়ায় ইস্টবেঙ্গলের কোচ বিনো জর্জ বিষ্ণু-সহ আরও তিন জনকে নামিয়ে দেন। তাতেও গোল আসছিল না। উল্টে জগমিত আরও একটি সুযোগ মিস্ না করলে এগিয়ে যেতে পারত পুলিশই। যখন মনে হচ্ছিল এই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্টই পাবে ইস্টবেঙ্গল, তখনই গোল হয়। ইস্টবেঙ্গলের একটি আক্রমণ গোলকিক হয়ে যাচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে বলের দখল নেন সঞ্জীব ঘোষ। তিনি তন্ময় দাসকে পাস দেন। পুলিশের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বিষ্ণুর উদ্দেশে পাস বাড়ান তন্ময়। বিষ্ণু তখন গোলের দিকে পিছন করে দাঁড়িয়ে। চকিতে ঘুরে গিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার।