মোহনবাগান সমর্থকেরা। — ফাইল চিত্র।
কলকাতা ডার্বিতে হারতে হয়েছে দু’দিন আগেই। কিন্তু সেই হারের শোক পালন করার মতো সময় নেই মোহনবাগানের কাছে। দু’দিন বাদেই এএফসি কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামছে তারা। প্রতিপক্ষ নেপালের মাচিন্দ্রা এফসি। তার আগে সোমবার মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো জানিয়ে দিলেন, ডার্বি তাঁর কাছে অতীত। ফলে সেটা নিয়ে আর ভাবছেন না। এএফসি কাপে ভাল ফল করাই লক্ষ্য তাঁর।
ডার্বি হেরে এএফসি কাপের কথা বার বার উঠে এসেছিল ফেরান্দোর মুখে। এ দিন তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, “ডার্বি নিয়ে আর ভাবছি না। ওই ম্যাচ আমার কাছে অতীত। চাইলেও ওই ম্যাচের ফলাফল বদলাতে পারব না। এটা ঠিক যে ওই ম্যাচে আমাদের অনেক ভুল হয়েছে। তবে এখন সামনে এএফসি কাপের ম্যাচ। বরাবরই এই প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করা লক্ষ্য আমাদের। ডার্বিতে হারের পরেও সেটা বদলাচ্ছে না। নেপালের মাচিন্দ্রা বেশ ভাল দল। ওদের সমীহ করতে হবে।”
ডার্বিতে দলের নতুন দুই বিদেশি আর্মান্দো সাদিকু এবং বিশ্বকাপার জেসন কামিংস খেলেছেন। কিন্তু ছাপ ফেলতে ব্যর্থ দু’জনেই। ফেরান্দোর মতে, সবে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন দুই ফুটবলার। সময় দিতেই হবে। বাগান কোচের কথায়, “এখনই বলা যাবে না দুই বিদেশি কেমন। সবে গত সপ্তাহে দলে যোগ দিয়েছে ওরা। কামিংস ২০ মিনিট খেলেছে। সাদিকু আর একটু বেশি। এখন ক্লান্তি থেকে ফিরিয়ে আনাই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। আমি জানি সমর্থকেরা কামিংস এবং সাদিকুর ভাল খেলা দেখতে মুখিয়ে রয়েছে। সবাইকে বলব, অপেক্ষা করুন। মরসুমের শুরুতেই সবার কাছ থেকে সেরা পারফরম্যান্স আশা করা যায় না। তার উপর নতুন দেশে এসেছে। মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবেই।”
তবে বিদেশিরাই একা দলকে জেতাতে পারবে না বলে মনে করেন ফেরান্দো। তাঁর মতে, স্বদেশি ফুটবলারদের সমান ভাবে অবদান রাখতে হবে। তাঁর ব্যাখ্যা, “দলের জয়ে অবদান রাখতে পারে বিদেশিরা, কারণ ওরা অভিজ্ঞ। কিন্তু একার হাতে ম্যাচ জিতিয়ে দেবে এই প্রত্যাশা সব সময় করা উচিত নয়। আমার দলের সব ফুটবলার গুরুত্বপূর্ণ। দল নির্বাচনের সময় কে কোন দেশের হয়ে খেলে সেটা দেখি না।”
ডুরান্ডে প্রথমে পঞ্জাব এবং পরে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে মোহনবাগানের রক্ষণের খারাপ অবস্থা দেখা গিয়েছে। এএফসি কাপে নামার আগে সেই দুর্বলতা ঢেকে দিতে চাইছেন ফেরান্দো। মঙ্গলবার অনুশীলনে সেই ফাঁকফোকর ঢাকার কাজ করবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। ফেরান্দোর কথায়, “ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের থেকে পঞ্জাব ম্যাচে ভুল বেশি করেছি। আপাতত একটা দিনের অনুশীলনে যথাসম্ভব ভুলত্রুটি শোধরানোর কাজ করব। বুধবারের ম্যাচের পর আমাদের হাতে ৬-৭ দিন থাকবে। সেই সময়ে আরও মনোযোগ দিতে হবে।”
সম্প্রতি মোহনবাগানে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসাবে যোগ দিয়েছেন আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। ডার্বির আগে বা পরে কি তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে? ফেরান্দোর উত্তর, “আমাদের মধ্যে সর্ব ক্ষণই ফুটবল নিয়ে কথা হয়। দু’জনেই যে কোনও মূল্যে দলের জয় চাই। প্রতি ম্যাচে সেরা দল কী ভাবে নামানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করি। ২-৩ দিনে বিরাট উন্নতি সম্ভব নয়। তবে এটুকু বলতে পারি ৩-৪টি বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে।”