হ্যাটট্রিকের পর জেসিন। ছবি: টুইটার।
কলকাতা লিগে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতল ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার নিজেদের মাঠে জর্জ টেলিগ্রাফকে হারিয়ে দিল ৪-০ গোলে। হ্যাটট্রিক করলেন জেসিন টিকে। গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার সিক্সের যোগ্যতা অর্জন করল ইস্টবেঙ্গল।
প্রথমার্ধে লাল-হলুদ খুব একটা ভাল খেলতে পারেনি। আক্রমণ হয়েছে টুকটাক। কিন্তু গোল করতে পারেনি তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলকে অন্য মেজাজে দেখা যায়। ৩৩০ সেকেন্ডের মধ্যে তিনটি গোল করে তারা। পরে আরও একটি গোল করে। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের কোনও জবাব খুঁজে পায়নি জর্জ।
ম্যাচ শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গল গোল খেয়ে যেতে পারত। প্রতিআক্রমণে উঠে এসেছিল জর্জ। কিন্তু ঠিক সময়ে গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসে দলকে সে যাত্রায় বাঁচিয়ে দেন আদিত্য পাত্র। ১৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল প্রথম একটি ভাল আক্রমণ করে। কিন্তু ভানলালপেকা গুইতের হেড ভাল বাঁচার জর্জের গোলকিপার। ২৮ মিনিটে জর্জের রক্ষণের ভুলে গুইতে একটি শট নিয়েছিলেন। সেটিও গোল হয়নি। প্রথমার্ধে এর পর বেশ কিছু সুযোগ পেলেও কাজে লাগেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার ১৬ সেকেন্ডের মধ্যে গোল করে ইস্টবেঙ্গল। পরিবর্ত হিসাবে নামা জেসিন টিকে গোল করেন। কিক-অফ হওয়ার পরেই পিভি বিষ্ণুর পাস পেয়ে যান জেসিন। বিপক্ষের গোলকিপার আলি এগিয়ে এলেও ঠান্ডা মাথায় ফিনিশ করেন জেসিন। দু’মিনিট পরে আবার গোল। এ বার বাঁ দিক থেকে জর্জের গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন সন্দীপন। ফিরতি বলে জোরালো শটে গোল করেন জেসিন।
৫২ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের তৃতীয় গোল। এ বার পিভি বিষ্ণু নিজেই গোল করেন। ইস্টবেঙ্গলের মুহুর্মুহু আক্রমণের সামনে তখন জর্জের দিশেহারা অবস্থা। কিন্তু তা সত্ত্বেও হাল ছাড়েনি তারা। ৫৭ মিনিটের মাথায় রাজেন ওঁরাও অসাধারণ একটি শট করেন। বক্সের বাইরে থেকে মারা শট কোনও মতে বাঁচিয়ে দেন আদিত্য। ৬৮ মিনিটে আবার রাজেনের একটি শট বাঁচান তিনি। ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় ইস্টবেঙ্গলের খেলার মধ্যে কিছুটা জড়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল।
সেই জড়তা কেটে যায় ৮১ মিনিটে। ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের নিরঞ্জন মণ্ডল। তাঁকে ফেলে দেন বাপ্পা প্রসাদ। হ্যাটট্রিকের সামনে ছিলেন জেসিন। তিনিই শট নিতে এগিয়ে আসেন এবং গোল করে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন।