BCCI

নির্বাচক কমিটিতে চিকিৎসক দরকার, চেতন শর্মাদের তুলোধনা করলেন গাওস্কর

সিরিজ় শুরুর এক দিন আগেই বুমরাকে ছেঁটে ফেলা হল, তাতে অনেকেই বিস্মিত। নির্বাচকদের প্রহসন আরও এক বার প্রকাশ্যে এল। এক কলামে নির্বাচকদের তুলোধনা করলেন সুনীল গাওস্কর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৩
Share:

যে ভাবে ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে গোলমাল তৈরি হয়েছে তাতেই এই মন্তব্য করেছেন গাওস্কর। ফাইল ছবি

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নতুন নির্বাচকদের নিয়োগ করতে না করতেই বিতর্ক। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়‌ের ছ’দিন আগে দলে নেওয়া যশপ্রীত বুমরাকে রাতারাতি ছেঁটে ফেলল বোর্ড। সিরিজ় শুরুর এক দিন আগেই যে ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তাতে অনেকেই বিস্মিত। নির্বাচকদের প্রহসন আরও এক বার প্রকাশ্যে এল। নির্বাচকদের তুলোধনা করলেন সুনীল গাওস্কর। স্পষ্ট জানালেন, নির্বাচক কমিটিতে প্রাক্তন ক্রিকেটার নয়, বেশি দরকার চিকিৎসকদের।

Advertisement

বোঝাই গিয়েছে, যে ভাবে ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে গোলমাল তৈরি হয়েছে তাতেই এই মন্তব্য করেছেন গাওস্কর। কিছু দিন আগেই বোর্ডের বৈঠকে ফিরিয়ে আনা হয় ইয়ো ইয়ো পরীক্ষা। যোগ করা হয় ডেক্সা পরীক্ষাও। দু’টি পরীক্ষারই তীব্র বিরোধিতা করেছেন গাওস্কর। তাঁর মতে, “ফিটনেস প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এমন নয় যে, কোনও একটা নির্দিষ্ট নিয়ম সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। জোরে বোলারদের ফিটনেস স্পিনারদের থেকে আলাদা হয়। উইকেটকিপারদের ক্ষেত্রে সেটা আরও বেশি। ব্যাটারদের ক্ষেত্রে অনেকটাই কম। তাই সবার জন্য একই মানদণ্ড স্থির করলে মুশকিল।”

গাওস্করের সংযোজন, “ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে সবার আগে ভাবা উচিত। আমার মতে, এই ফিটনেস পরীক্ষা প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে করা হোক। তা হলেই আমরা বুঝতে পারবে কোন ক্রিকেটার ‘ইয়ো ইয়ো’ আর কোন ক্রিকেটার ‘নো নো’।”

Advertisement

নতুন নির্বাচকদেরও একহাত নিয়েছেন গাওস্কর। বলেছেন, “এমন নির্বাচকদের নেওয়া হল যারা কেউ বায়ো-মেকানিক্স বিশেষজ্ঞ নয়। শারীরবিদ্যা সম্পর্কে কিছু জানেই না। যে হেতু কোনও ক্রিকেটারকে ফিটনেসের বিচারেই নির্বাচন করা হবে, তাই প্রাক্তন ক্রিকেটারদের বদলে কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে রাখলে ভাল হত। যদি এ রকম মুহূর্ত আসত যেখানে একটি জায়গার জন্য দু’জন ক্রিকেটারের মধ্যে বেছে নিতে হবে, তখন এই বিশেষজ্ঞদেরই পরামর্শ কাজে লাগত। উইকেট বা রানের কথা মাথায় না রেখে কে বেশি ফিট সেটা বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারত।”

প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে দলে ঢোকার ছ’দিনের মাথায় সোমবার আবার দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। ফিটনেস সংক্রান্ত কারণে তাঁকে দলের বাইরে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিসিসিআই।

বোর্ড একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের এক দিনের সিরিজ় থেকে ছিটকে গিয়েছেন বুমরা। দলের সঙ্গে গুয়াহাটিতে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনই মাঠে নামতে পারবেন না তিনি। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বল করতে এখনও কিছু দিন লাগবে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বুমরাকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে।’’

বুমরার ছিটকে যাওয়ার খবর মনে পড়িয়ে দিচ্ছে নির্বাচক হিসাবে চেতন শর্মাকে পুনরায় নিযুক্ত করার ঘটনা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ব্যর্থতার পরে চেতন-সহ গোটা নির্বাচক কমিটিকে বরখাস্ত করে বিসিসিআই। নতুন কমিটি নিযুক্ত করার জন্য আবেদন নেওয়া হয়। সেখানে আবার আবেদন করেছিলেন চেতন। শনিবার বিসিসিআই যে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে তাতে চেতন রয়েছেন। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, যদি চেতনকেই আবার নির্বাচক করা হবে তা হলে তাঁকে বরখাস্ত করা হল কেন? তা হলে কি পুরোটাই চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। সেই একই প্রশ্ন উঠছে বুমরাকে ঘিরে। তাঁকে যদি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলানো হবেই না, তা হলে কেন তাঁকে পরে দলে নেওয়া হল?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement