আল নাসেরে খেলতে আসার পর থেকে একটি বিলাসবহুল হোটেলে থাকছিলেন রোনাল্ডো। রিয়াধেই নিজের বাড়ি খুঁজে নিয়েছেন। ফাইল ছবি
হোটেলে দিনযাপন শেষ। সৌদি আরবে গিয়ে অবশেষে পাকাপাকি বাড়ি জুটল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। আল নাসেরে খেলতে আসার পর থেকে একটি বিলাসবহুল হোটেলে থাকছিলেন তিনি। রিয়াধেই নিজের বাড়ি খুঁজে নিয়েছেন। সেখানে স্ত্রী-সন্তানদের পাশাপাশি রোনাল্ডোর মা-ও থাকবেন। তবে এত দিন হোটেলে থাকার কারণে যে পরিমাণ অর্থ রোনাল্ডোকে দিতে হবে, তা দেখে অনেকেই হতবাক হয়ে পড়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত এক মাসে ওই হোটেলে থাকতে রোনাল্ডোর খরচ হয়েছে আড়াই লক্ষ পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় আড়াই কোটি টাকা। রোনাল্ডোর সঙ্গে থাকতে সম্প্রতি রিয়াধে এসেছেন তাঁর মা। মা-কে সঙ্গে নিয়েই নতুন বাড়িতে উঠেছেন রোনাল্ডো। তবে সৌদির কোথায় রোনাল্ডোর পাকাপাকি বাড়ি, তা এখনও জানা যায়নি। যেখানেই থাকুন, রোনাল্ডোর জন্য বরাদ্দ থাকবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রিয়াধে রোনাল্ডোকে রাখা হয়েছিল ‘ফোর সিজন্স’ হোটেলের কিংডম টাওয়ারে। দেশের অন্যতম সেরা বিলাসবহুল হোটেল সেটি। তিনি এমন একটি স্যুটে ছিলেন, যেখানে থাকার সামর্থ্য রয়েছে দেশের ধনবান ব্যক্তিদেরই। রিয়াধের অন্যতম সেরা স্যুটে রাখা হয়েছিল তাঁকে। রোনাল্ডো ছাড়াও তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং নিরাপত্তারক্ষীদের জন্যে রয়েছে আরও ১৬টি ঘর। রোনাল্ডো যে ঘরে থাকছেন, সেটির আয়তন তিন হাজার ফুট। এক মাসের জন্যে ভাড়া নেওয়া হয়েছে সেটি। রোনাল্ডো এবং তাঁর সঙ্গীরা মোট দু’টি তলায় ছিলেন। রোনাল্ডোর ঘরের পাশেই ছিল ব্যক্তিগত অফিস, ডাইনিং রুম এবং মিডিয়া রুমও।
সেই স্যুটের কত দাম তা হোটেলের ওয়েবসাইটে দেওয়া নেই। তবে একটু পাশেই রয়েছে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট’, যাঁর দৈনিক ভাড়া ভারতীয় মুদ্রায় তিন লক্ষ ৩০ হাজার টাকার কাছাকাছি। তবে তাঁর আগে সৌদি আরবের সেরা হোটেলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন তিনি। ওই হোটেলে টেনিস কোর্ট, শরীর মাসাজ করার ব্যবস্থা, স্পা, সনা এবং স্টিম রুম রয়েছে।
রোনাল্ডোর ঘর থেকে গোটা রিয়াধ শহর দেখা যেত। সৌদি আরবের অন্যতম সেরা উঁচু বাড়ি এই হোটেলের। খাবারেও ছিল বৈচিত্র। চিন, জাপান, মধ্যপ্রাচ্য, এমনকী ভারতের খাবারও চেখে দেখেছেন রোনাল্ডো। তাঁর খাবারের পদে ছিল সামুদ্রিক মাছ, বিফ কাটলেট, ভেড়া এবং মুরগির মাংসের নানা পদ। হোটেলের সেরা রাঁধুনিরা রোনাল্ডোর রান্না করেছিলেন। রোনাল্ডো চাইলে পরিবারের সঙ্গে খাবার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হতে পারত। এ ছাড়া, স্ত্রী-কে নিয়ে আলাদা করে নৈশভোজ করতে চাইলে ব্যবস্থা করা হতে পারত স্কাই ব্রিজে, যা কিংডম টাওয়ারের সবচেয়ে উপরে, ৯৯ তলায়।
হোটেলের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রোনাল্ডোর সঙ্গে বেশি নিজস্বী না তোলার জন্য। তবে হোটেলের কর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি রোনাল্ডো। সৌদিতে যাওয়ার পর একটি জাপানি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন রোনাল্ডো। জাপানের স্থানীয় খাবার চেখে দেখেছেন তিনি। সোনালি এবং কালো রংয়ের একটি জ্যাকেট পরেছিলেন রোনাল্ডো। সমর্থকদের সঙ্গে নিজস্বীও তুলেছিলেন। তাঁর আগে একটি লেবানিজ রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন তিনি।