লিয়োনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। —ফাইল চিত্র।
এক জনের বয়স ৩৯ বছর, অন্য জনের ৩৭ বছর। ফুটবল কেরিয়ারের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন দু’জনেই। তবু বিশ্ব একাদশে জায়গা করে নেওয়ার দৌড়ে রয়েছেন তাঁরা। প্রথম জন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং দ্বিতীয় জন লিয়োনেল মেসি। বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা দুই ব্যক্তি ৭০টি দেশের ফুটবলারের ভোটে বিশ্ব একাদশে ঢোকার দৌড়ে ঢুকে পড়েছেন। তাঁরা বাদে ওই তালিকায় থাকা বাকি সব ফুটবলারই ইউরোপের ক্লাবে খেলেন।
রোনাল্ডো এখন সৌদি আরবের আল নাসেরের হয়ে খেলেন। মেসি খেলেন আমেরিকার ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে। মোট ২৬ জনের তালিকায় তাঁরা রয়েছেন। বাকি ২৪ জনই ইংল্যান্ড, জার্মানি, স্পেন এবং ফ্রান্সের ক্লাবে খেলা ফুটবলার। ইটালি বা লাতিন আমেরিকার ক্লাবে খেলা কোনও ফুটবলার ২৪ জনের তালিকায় নেই।
স্পেনের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের ৮ জন ফুটবলার বিশ্বের সেরা একাদশের দৌড়ে রয়েছেন। ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সাত জন রয়েছেন এই তালিকায়। বার্সেলোনা থেকে মাত্র এক জন ফুটবলার এই তালিকায় রয়েছে। ফুটবলারদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এই তালিকায় নাম উঠেছে ২৬ জনের। সেরা একাদশে সেই সব ফুটবলারেরা থাকবেন, যাঁরা নিজেদের বিভাগে বেশি ভোট পাবেন। গোলরক্ষক, ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার এবং স্ট্রাইকার এই চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
কোন কোন ফুটবলার রয়েছেন তালিকায়?
গোলরক্ষক- এডেরসন (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি), এমিলিয়ানো মার্তিনেস (অ্যাস্টন ভিয়া), মানুয়েল নুয়ের (বায়ার্ন মিউনিখ)
ডিফেন্ডার- দানি কার্ভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ), রুবেন ডায়াস (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি), ভির্জিল ভান ডিহিক (লিভারপুল), জেরেমি ফ্রিমপং (বেয়ার লেভেরকুসেন), অ্যান্তোনিয়ো রুডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল) এবং কাইল ওয়াকার (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি)
মিডফিল্ডার- জুড বেলিংহ্যাম (রিয়াল মাদ্রিদ), কেভিন ডি ব্রুইন (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি), ফিল ফডেন (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ), লুকা মদ্রিচ (রিয়াল মাদ্রিদ), জামাল মুসিয়ালা (বায়ার্ন মিউনিখ), রদ্রি (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি) এবং ফেডেরিকো ভালভার্দে (রিয়াল মাদ্রিদ)
স্ট্রাইকার- এর্লিং হালান্ড (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি), হ্যারি কেন (বায়ার্ন মিউনিখ), কিলিয়ান এমবাপে (রিয়াল মাদ্রিদ), লিয়োনেল মেসি (ইন্টার মায়ামি), কোল পামার (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি), ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (আল নাসের), ভিনিসিয়স জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ) এবং লামিনে ইয়ামাল (বার্সেলোনা)