কিলিয়ান এমবাপে। —ফাইল চিত্র।
নাক ভাঙা কিলিয়ান এমবাপে কবে খেলতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ফেস গার্ড পরে খেলার অভ্যাস করতে হচ্ছে তাঁকে। কোচ দিদিয়ের দেশঁ এখনও জানেন না কবে খেলতে পারবেন এমবাপে। তবে তিনি আগের থেকে সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন ফরাসি কোচ।
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খেলানো হয়নি এমবাপেকে। গত সোমবার অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে নাক ভেঙেছিল এমবাপের। তার পর থেকে অনুশীলন করলেও ফেস গার্ড পরে রয়েছেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে বেঞ্চে ছিলেন এমবাপে। কিন্তু তাঁকে নামানো হয়নি। ম্যাচটি ড্র হয়। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে এমবাপেকে খেলতে দেখা যাবে কি না প্রসঙ্গে দেশঁ বলেন, “এমবাপে ওর ফেস গার্ডে অভ্যস্ত হচ্ছে। আগের থেকে অনেকটাই ভাল আছে। তবে পরের ম্যাচ খেলবে কি না তা স্পষ্ট নয়।”
অনুশীলন করা আর ম্যাচ খেলার মধ্যে অনেকটাই তফাত রয়েছে। সেটা বুঝতে পারছেন দেশঁ। শুধু তিনি নন, ফ্রান্সের ডিফেন্ডার অরেলিয়েন চুয়ামেনি বলেন, “এমবাপে পরের ম্যাচটা খেলার চেষ্টা করছে। ফেস গার্ড পরে খেলাটা বেশ কঠিন। ও সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ফেস গার্ড ছাড়া খেলতে পারলে সুবিধা হত। কিন্তু চিকিৎসক সেটা মেনে নেবেন না। তবে ফেস গার্ড পরে খেললেও এমবাপে ভয়ঙ্কর। ও মাঠে নামলে নিজের সেরাটাই দেবে।”
প্রথম ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র। ফ্রান্স চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে যদি তারা হেরে যায়, তখন নেদারল্যান্ডস-অস্ট্রিয়া ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। কারণ অস্ট্রিয়া তিন পয়েন্ট পেয়েছে। তারা যদি নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দেয় তা হলে সাত পয়েন্ট হয়ে যাবে তাদের। তখন ফ্রান্সের থেকে বেশি পয়েন্ট হয়ে যাবে অস্ট্রিয়ার।
ফ্রান্সের কোনও ফুটবলার এখনও পর্যন্ত গোল করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে জয় এসেছিল অস্ট্রিয়ার ফুটবলারের আত্মঘাতী গোলে। দেশঁ বলেন, “আমি দলকে নিয়ে যে ভাবে পরিকল্পনা করেছি, তাতে পরের পর্বে অবশ্যই যাব। কিছু ফুটবলার পুরোপুরি সুস্থ নয়। তাদের সুস্থ হওয়ার অপেক্ষা করছি।”
গত সোমবার ৮৫ মিনিটের মাথায় অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডার ডানসোর সঙ্গে সংঘর্ষে নাক ফাটে এমবাপের। রক্তে ভিজে যায় তাঁর মুখ এবং জার্সি। খেলা বন্ধ থাকে কিছু ক্ষণ। এমবাপেকে তুলে নিতে চেয়েছিলেন কোচ দিদিয়ের দেশঁ। কিন্তু রক্তপাত পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার আগেই এমবাপে মাঠে ফিরে আসেন এবং নাক ধরে বসে পড়েন। রেফারি তাঁকে হলুদ কার্ড দেখান।