কার্লেস কুয়াদ্রাত। —ফাইল চিত্র।
৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তাঁর দল। ম্যাচ শেষে সমর্থকদের সঙ্গে উল্লাসে মেতেছেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। আইএসএলে পাঁচ ম্যাচের খরা কাটিয়ে জয়ে ফিরেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ম্যাচ চলাকালীন চিন্তায় ছিলেন কুয়াদ্রাত। লিগের ‘লাস্ট বয়’কে কি ভয় পাচ্ছিলেন লাল-হলুদ কোচ?
ম্যাচ শেষে কুয়াদ্রাত বলেন, “ওরা পয়েন্ট তালিকার শেষে ছিল। ওদের কিছু হারানোর ছিল না। এই রকম দলের বিরুদ্ধে ১ গোলের ব্যবধান খুব একটা নিরাপদ নয়। তাই চিন্তায় ছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত যে জিতেছি সেটাই বড় কথা। এই জয় খুব দরকার ছিল।”
প্রথমার্ধে ক্লেটন সিলভার গোলে এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে চাপে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনে হায়দরাবাদ। গোল করার জায়গাতেও পৌঁছে যায় তারা। এক বার পোস্টে লেগে বল ফেরে। হায়দরাবাদে এক জন দক্ষ গোল করার লোক থাকলে হয়তো পয়েন্ট নষ্ট করেই ফিরতে হত ইস্টবেঙ্গলকে। ৩ পয়েন্ট পেলেও ইস্টবেঙ্গলের খেলা কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখবে সমর্থকদের।
তবে ফুটবলারদের দোষ দিতে নারাজ কুয়াদ্রাত। তাঁর মতে, লাগাতার ম্যাচ খেলায় ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন ফুটবলারেরা। তিনি বলেন, “তিন দিনের ব্যবধানে খেলতে হচ্ছে। প্রস্তুতির জন্য মাত্র এক দিন সময় পাচ্ছি। তাই ফুটবলারদের ক্লান্ত হওয়া স্বাভাবিক। তার মধ্যেও ওরা জিতেছে।” হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ফর্মেশনে বদল করেছিলেন কুয়াদ্রাত। ৪-২-৩-১ ছকে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সামে একা রেখেছিলেন ফেলিসিয়ো ব্রাউনকে। ফেলিসিয়োর উচ্চতা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন তিনি। কুয়াদ্রাতের মতে, তাঁর পরিকল্পনা কাজে লেগেছে। দলের জয় তারই তারই প্রমাণ।
হায়দরাবাদকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় আট নম্বরে উঠে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ছয় দলের মধ্যে শেষ করার সুযোগ রয়েছে তাদের। কুয়াদ্রাত জানিয়েছেন, সেই লক্ষ্যেই পরের ম্যাচগুলিতে খেলবেন তাঁরা। কোচ বলেন, “আমরা হয়তো শেষ দিকে ছিলাম। কিন্তু আমরা কম ম্যাচ খেলেছি। তাই আমাদের উপরে ওঠার সুযোগ রয়েছে। সেটাই হয়েছে। প্রথম ছয় দলের মধ্যে শেষ করা আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই পরের ম্যাচগুলোতে নামব।”